ইউসেইন বোল্ট। ফাইল চিত্র।
বিশ্বের সর্বকালের সেরা দ্রুততম মানব ধরা হয় তাঁকে। বার্লিনে ২০০৯ বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার দৌড়েছিলেন ৯.৫৮ সেকেন্ডে। সেই রেকর্ড এখনও কেউ ভাঙতে পারেনি। ২০০ মিটারে তাঁর অবিশ্বাস্য ১৯.১৯ সেকেন্ড সময়টাও অক্ষত। কিংবদন্তি জামাইকান স্প্রিন্টার ইউসেইন বোল্ট অবশ্য দৌড়ের গতিতে এগিয়ে রাখছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। বলে দিচ্ছেন, এখন কিন্তু তাঁর চেয়েও দ্রুত দৌড়নোর ক্ষমতা রয়েছে রোনাল্ডোর।
বোল্টের কথায়, ‘‘ক্রিশ্চিয়ানো একজন সুপার অ্যাথলিট।’’ স্পেনের সংবাদমাধ্যমকে বোল্ট বলেছেন, ‘‘আমি নিশ্চিত ক্রিশ্চিয়ানো আমার থেকেও দ্রতগতিসম্পন্ন।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ও (রোনাল্ডো) নিজের খেলায় শীর্ষে রয়েছে। অসম্ভব পরিশ্রম করে। মনঃসংযোগ হারায় না কখনও। নিশ্চিত ভাবেই বলতে পারি যে, এই মুহূর্তে ও আমার থেকেও দ্রুতগতিতে দৌড়য়।’’ রোনাল্ডোর সঙ্গে স্প্রিন্ট প্রতিযোগিতায় নামলে কেন তিনি আর পারবেন না তার কারণ লুকিয়ে রয়েছে সম্ভবত এক বছর আগের আটটি অলিম্পিক্স সোনার মালিকের একটি মন্তব্যে। বোল্ট বলেছিলেন, ‘‘শরীর ঠিক রাখতে এখনও অনুশীলন করি। কিন্তু সেটা নিয়মিত জিম করা ছাড়া অন্য কিছু নয়।’’
বোল্টের বয়স এখন ৩৪। ফুটবল তাঁর দ্বিতীয় প্রেম। অবসরের পরে পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও তা আর সফল হয়নি। রোনাল্ডো তাঁর থেকে বয়সে বড়। কিন্তু এখনও খেলে যাচ্ছেন চুটিয়ে। শুধু লা লিগাতেই তাঁর গোলের সংখ্যা ৩১১। এই বয়সে জুভেন্টাসে যোগ দিয়ে ইতিমধ্যেই ৭১ গোল করেছেন। এখনও তাঁর চাহিদা তুঙ্গে। এও শোনা যাচ্ছে, পর্তুগিজ কিংবদন্তিকে দলে নিতে প্যারিস সাঁ জারমাঁ নাকি নেমার জুনিয়রকেও ছেড়ে দিতে পারে। যদিও রোনাল্ডোর ফুটবল মাঠের সাফল্যের সঙ্গে স্প্রিন্ট দুনিয়ার রাজা বোল্টের তুলনা করা কঠিন। স্প্রিন্টারদের খেলোয়াড় জীবন এমনিতেই ফুটবলারদের চেয়ে অনেক ছোট। ৩৫ বছরের রোনাল্ডো তাই ফুটবল চালিয়ে যেতে পারেন। ৩৪ বছরের বোল্টের পক্ষে ১০০ মিটার দৌড়নো সম্ভব নয়।