উচ্ছ্বাস জোকার। হতাশ ফেডেরার। ছবি: এএফপি।
ইউএস ওপেনের সিঙ্গলসে রজার ফেডেরারকে হারিয়ে এই বছরেই পর পর তিনটি গ্র্যান্ডস্লাম নিজের ঝুলিতে ভরলেন বর্তমান টেনিস সম্রাট জকোভিচ। শুধু তাই নয়, কেরিয়ারের ১০টি গ্র্যান্ডস্লামও এখন তাঁর দখলে। ফ্লাশিং মেডোয় দুই সম্রাটের লড়াই দেখতে মুখিয়ে ছিল গোটা বিশ্ব। ফেডেরারের গুণমুগ্ধরা ভেবেছিলেন এ বার হয়তো তাঁকে স্বমহিমায় দেখা যাবে। কিন্তু না, সকলকে হতাশ করে দিয়েই জোকারের কাছে হার মানলেন ফেডেরার। বুড়ো হারে ভেল্কি দেখাতে পারলেন না তিনি। স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন রবার্ট রেডফোর্ট, শন কোনরি, ডেভিড বেকহ্যামের মতো সেলিব্রিটিরা।
এমনিতেই বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হয় তিন ঘণ্টা দেরিতে। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়াম তখন ৩৪ বনাম ২৮-এর ম্যাচ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট বজায় রেখেছিলেন জোকার। একটা সময় খুব ক্লান্ত আর হতাশ দেখাচ্ছিল ফেডেরারকে। তেড়েফুঁড়ে উঠেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি তিনি। জকোভিচের ৬-৪, ৫-৭, ৬-৪, ৬-৪ ফলাফলে হার স্বীকার করতে হয় তাঁকে। ২০১২-র পর থেকে আর সে ভাবে দাপুটে রজারকে দেখতে পায়নি বিশ্ব। তার পর চোট তো আছেই। বয়স এবং চোট— এই দুইয়ের কারণেই কি এক সময়ের টেনিস সম্রাট পিছিয়ে পড়ছেন? জল্পনা উঠেছে টেনিস মহলে। আবার বিরুদ্ধ মত-ও জানিয়েছেন অনেকে, ভারতীয় টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ যদি তাঁর ৪২-এ দাঁড়িয়ে গ্র্যান্ডস্লাম আনতে পারেন, তা হলে রজার নয় কেন? এ প্রশ্নের উত্তর স্বয়ং ফেডেরারই দিতে পারবেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
অন্য দিকে, এ বছরেই পর পর তিনটি গ্র্যান্ডস্লাম জিতে জোকার আবার দেখিয়ে দিলেন ‘ডন কো পাকাড়না মুশকিলই নেহি, না মুমকিন হ্যায়’। ইউএস ওপেনের আগে তিনি অস্ট্রেলীয় ওপেন এবং উইম্বলডন খেতাব জেতেন। ফরাসি ওপেনে তিনি যদি স্টান ওয়ারিঙ্কার কাছে না হারতেন তা হলে এক বছরে চারটে গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ড করতেন। দশটি মেজর জিতে জোকার আমেরিকার বিল টিল্ডেনকে স্পর্শ করলেন।
ম্যাচ জেতার পর জোকার বলেন, “রজারকে আমি শ্রদ্ধা করি। ও সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। আমি জানতাম, আমাকে আমার সেরাটা দিতে হবে।”
তিনি যে হেরে গিয়েও দমার পাত্র নন, সেটা ফের প্রমাণ করলেন তাঁর মন্তব্যে। জোকারকে রজার বলেন, “২০১৬-য় এখানেই তোমার সঙ্গে দেখা হবে আমার।” এই ভাবেই তিনি জোকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে গেলেন। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, “নোভাকের মতো এক জন চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে খেলা সত্যিই কঠিন।”