অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে বে়জায় বিপাকে পড়েছেন অনান্য দেশের ব্যাটসম্যানরা। শ্রীলঙ্কার ওই ছোট্টখাট্ট চেহারার স্পিনারটা বিপরীতে বল করতে এলেই বিপদ। একই ওভারে এই একবার ডানহাতে বল করতে আসে তো একবার বাঁ হাতে। রাইট আর্ম অফ স্পিনটা পরের বলেই বদলে যাচ্ছে লেফট আর্ম অর্থোডক্সে। সেটা সামলাতে না সামলাতেই ডান হাত থেকে ছুটে আসছে ভয়ানক স্ট্রেটার। সেটা বোঝার আগেই বাঁ হাতের গ্রিপ লাফিয়ে নামছে খতরনাক আর্ম বল। এর ফাঁকেই আবার দুসরার ঝলকও আছে। দু হাতেই লাট্টুর মত বনবন করে ঘুরছে বল। আপাতত, লঙ্কার এই মিস্ট্রি স্পিনার কামিন্দু মেন্ডিসকে সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছে সকলে। কামিন্দুর দু’হাতে ছোবল যে কতটা ভয়ানক ইতিমধ্যেই সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে পাকিস্তান। কী ভাবে আটকানো যাবে বছর সতেরোর এই বিস্ময় কিশোরকে? শেষ আট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাকি সাতটা দেশ তা নিয়ে আলাদা প্ল্যান শুরু করে দিয়েছে।
শ্রীলঙ্কার এই স্পিনারের ‘সব্যসাচী’ প্রতিভায় এখন মেতেছে ক্রিকেট বিশ্ব। সবাই স্বীকার করে নিচ্ছেন, এই প্রতিভা বিরল। কামিন্দুর বোলিং-এ মজেছে আইসিসি-ও। তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে টুইট করে বলা হয়েছে ‘‘আপনারা কি এমনটা আগে কখনও দেখেছেন? সুইচ হিটের নাম শুনেছেন, সুইচ বোলিং দেখেছেন কি?’’ সঞ্জয় মঞ্জেরেকরের টুইট ‘‘দ্য নেম ইজ মেন্ডিস। কামিন্দু মেন্ডিস।’’
আরও পড়ুন-বিরাটের তলোয়ারে ভিভের ছায়া
কামিন্দু মুরলি যুগ ফিরিয়ে আনতে পারবে কিনা সেই প্রশ্ন আপাতত তোলা থাক। শ্রীলঙ্কার এই নয়া মেন্ডিস চলতি বিশ্বকাপে নয়া আর কী কী খেল দেখায়, অপেক্ষা এখন তারই।
দেখুন কামিন্দুর সেই ম্যাজিকাল বোলিং-র এক ঝলক-