আই লিগ শেষ হলেই কী শেষ হয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের এ বারের ফুটবল মরসুম? কারণ হঠাৎ-ই সুপার কাপ ঘিরে তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা।
খেতাবের লড়াই থেকে প্রায় ছিটকে যাওয়ার পরে এখন খালিদ জামিল এবং শঙ্করলাল চক্রবর্তীরা আই লিগ খেলছেন মূলত সুপার কাপে খেলার যোগ্যতা পেতে। তাদের লক্ষ্য লিগ টেবলে অন্তত ছয়ের মধ্যে থাকা। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, ক্রিকেট আইপিএলের জন্য ফেডারেশনের সম্প্রচার চ্যানেল ওই সময় কাপের খেলা দেখাতে পারবে না। ফলে নতুন এই টুনার্মেন্ট হওয়া নিয়েই এখন চূড়ান্ত ধন্দে খোদ ফুটবল কর্তারাই। যা পরিস্থিতি তাতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফেডারেশন কর্তারা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না সুপার কাপ হবেই। আই লিগের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সুনন্দ ঘোষ দিল্লি থেকে ফোনে এ দিন বললেন, ‘‘সামনের সপ্তাহে লিগ কমিটির সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে সুপার কাপ নিয়ে। তার আগে কিছু বলতে পারব না।’’
আই লিগ এবং আইএসএল নিয়ে যখন চূড়ান্ত টানাপোড়েন চলছিল, তখন সমস্যা মেটাতে ঠিক হয়েছিল এ বছর সুপার কাপ হবে। ফেড কাপ সে জন্যই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছিল দুই টুনার্মেন্টের প্রথম ছয়টি করে বারোটি দল খেলবে সুপার কাপে। এ ছাড়াও দু’টো টুর্নামেন্টেরই শেষের চারটি করে মোট আটটি দলের মধ্যে খেলা হওয়ার পর সেখান থেকে চারটি দল খেলবে। অর্থাৎ মোট ষোলো দলের সুপার কাপ হবে। চারটি গ্রুপে ভাগ করে লিগ হবে। তারপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। দু’মাস ধরে টুনার্মেন্ট হওয়ার কথা।
ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত ছিল মার্চের শেষে সুপার কাপ শুরু হবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। কারণ ওই সময় সুনীল ছেত্রীদের ভারতীয় দল ফিফার বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য দুটি তারিখ ধার্য করেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঠিক হয়েছিল ৭ এপ্রিল থেকে কাপ শুরু হবে। ওই দিনই আবার শুরু হচ্ছে ক্রিকেটের আইপিএল। ফুটবল এবং ক্রিকেট—দুটো এক সঙ্গে সম্প্রচার সম্ভব নয় বলে ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন ওই চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। ফুটবল হাউসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, লিগের সভায় ওই চ্যানেলের প্রতিনিধিকে ডাকা হচ্ছে। তাদের ইচ্ছার উপরই নির্ভর করছে কাপের ভবিষ্যৎ। ফুটবল হাউসের এক কর্তা বললেন, ‘‘সুপার কাপ না হলে সেটা হবে ফেডারেশনের কাছে বড় ধাক্কা।’’
সুপার কাপ ঘিরে অনিশ্চয়তার মধ্যেই আইজল এফ সি-র কর্ণধার রবার্ট রয়তে এবং টিমের বিদেশি কোচ পাওলো মেনজেস-সহ আরও দু’জনকে শো-কজ করল ফেডারেশন। তাদের আলাদা চিঠি পাঠানো হয়েছে। মাঠে গণ্ডগোলের জন্য টিম মালিককে এবং রেফারির দিকে তেড়ে যাওয়া ও গালাগালি করার জন্য বাকিদের। শো-কজের উত্তর পাওয়ার পর তাঁদের ডাকবে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।