আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেন উনাদকাট

সিরিজ শেষ হওয়ার পরে সাংবাদিকদের উনাদকাট বলেন, ‘‘শ্রীলঙ্কা সিরিজ আমার আত্মবিশ্বাস আবার ফিরিয়ে দিল।’’ এই মুহূর্তে ভারতীয় দল যে এক জন ভাল বাঁ-হাতি পেসারের খোঁজে আছে, সেটা জানেন উনাদকাট।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:১৪
Share:

প্রত্যয়ী: নিজের জায়গা পাকা করতে চান উনাদকাট। ফাইল চিত্র

ভারতীয় দলে বাঁ-হাতি পেসারের সমস্যা মেটানোর জন্য নতুন করে ভাবা হয়েছিল তাঁর কথা। অনেক দিন বাদে আবার তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল সেই অভাব মেটানোর জন্য। ভারতীয় নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে হতাশ করেননি জয়দেব উনাদকাট। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তনের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছেন এই বাঁ-হাতি পেসার।

Advertisement

সিরিজ শেষ হওয়ার পরে সাংবাদিকদের উনাদকাট বলেন, ‘‘শ্রীলঙ্কা সিরিজ আমার আত্মবিশ্বাস আবার ফিরিয়ে দিল।’’ এই মুহূর্তে ভারতীয় দল যে এক জন ভাল বাঁ-হাতি পেসারের খোঁজে আছে, সেটা জানেন উনাদকাট। তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সৌরাষ্ট্রের পেসার বলেছেন, ‘‘ম্যানেজমেন্ট কী ভাবছে, সেটা আমি বলতে পারব না। তবে আমি এটুকু বলব, দলে এক জন বাঁ-হাতি পেসার থাকলে, সেটা বোলিং আক্রমণে অনেক বৈচিত্র আনে। এটা দারুণ হবে যদি আমি ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলতে পারি আর ভারতের সীমিত ওভারের দলে নিজের জায়গাটা পাকা করতে পারি।’’

ভারতীয় দলে নিজের জায়গাটা পাকা করাই যে তাঁর পাখির চোখ, তা বলেছেন উনাদকাট। তাঁর কথায়, ‘‘আমি আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পেয়েছি। এই লড়াইটা সবে শুরু হল। এখন আমাকে একটা কাজ ঠিক মতো করতে হবে। এই জায়গা থেকে নিজেকে ক্রমাগত উন্নতির পথে নিয়ে যেতে হবে।’’ এই বাঁ-হাতি পেসার ভালই জানেন, তাঁর সামনে চ্যালেঞ্জটা কী হতে চলেছে। ‘‘আমি জানি বিপক্ষ দল এখন থেকে আমার বোলিংটা খুব ভাল করে দেখবে। এখন আমি আবার কয়েকটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে দেওয়ায় ব্যাটসম্যানদের নজর থাকবে আমার বোলিংয়ের ওপর।’’

Advertisement

উনাদকাট বলছেন, তিনি এখন অনেক পরিণত হয়ে উঠেছেন এবং চাপ সামলানোর ক্ষেত্রেও অনেক অভিজ্ঞ হয়েছেন। তাঁর বোলিংয়ে অনেক বৈচিত্রও এসেছে। উনাদকাটের বক্তব্য, ‘‘চাপের মুখে আমি এখন মাথা ঠান্ডা রাখতে শিখেছি। নিজের ওপর আস্থা থাকে যে ওই অবস্থায় ভাল বল করতে পারব।’’

ভারতীয় দলের বেশ কয়েক জন বোলারকে দেখে যে তিনি শিখছেন, তা বলেছেন উনাদকাট। ‘‘আমি দেখেছি সব ভাল বোলারই চাপের মুখে নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করতে পারে। আমি দেখেছি, প্রচণ্ড চাপের মুখে ভুবি (ভুবনেশ্বর কুমার) কী ভাবে বল করে। আমি দেখেছি, ভারতের হয়ে যশপ্রীত বুমরা এই কাজটা দিনের পর দিন করে চলেছে। আমাকেও সেটাই করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement