সচিনের সঙ্গে কেরল ব্লাস্টার্সের দুই নতুন মালিক চিরঞ্জীবী ও নাগার্জুন। বুধবার। -টুইটার
গত দু’বছরের ব্যর্থতা কাটাতে আইএসএল-থ্রিতে পরিবর্তনের হাওয়া কেরল ব্লাস্টার্সে।
কোচ থেকে টিমের মালিকানা— সর্বত্রই নতুন মুখ। নতুন কোচের নাম নিয়ে জল্পনার মাঝেই সচিন তেন্ডুলকরের টিমের অন্যতম মালিক হিসেবে যুক্ত হলেন ভারতের চলচ্চিত্র জগতের দুই বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব- চিরঞ্জীবী ও নাগার্জুন। যাঁরা শুধু দক্ষিণী ছবির মেগাস্টারই নন, একটা সময়ে বলিউডেও দাপিয়ে গিয়েছেন। এ ছা়ড়াও ছবির প্রযোজক আল্লু অরবিন্দ এবং শিল্পপতি এন প্রসাদও রয়েছেন কেরল ব্লাস্টার্সের মালিকের তালিকায়।
বুধবার তিরুঅনন্তপুরমে একটি অনুষ্ঠানে সচিন-সহ কেরলের পাঁচ মালিক-ই উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই কেরল ব্লাস্টার্সের লোগো লাগানো একটি বলে সই করেন সচিনরা। সেখানেই মাস্টার ব্লাস্টার বলে দিয়েছেন, ‘‘আমরা আইএসএলে তৃতীয় বছরের ঠিক পথেই এগোচ্ছি বলে মনে হয়। চিরঞ্জীবী, নাগার্জুনদের আমি কেরল ব্লাস্টার্সে স্বাগত জানাচ্ছি। এখানকার ফুটবল উত্তেজনা এবং কেরলের হাজার হাজার সমর্থকের উন্মাদনার অংশীদার এ বার ওরাও হবে।’’
সচিনের সঙ্গে মালিকানা ভাগ করে নিতে পেরে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত নাগার্জুন, চিরঞ্জীবীরা। নাগার্জুন যেমন বলেছেন, ‘‘ভারতের যে কোনও ধরনের স্পোর্টসকেই আমি সব সময় গুরুত্ব দিই। বিশেষত এ বার কেরলের মতো ফুটবল টিমের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে ভাল লাগছে।’’ সচিনকে পাশে নিয়ে চিরঞ্জীবী আবার বলেছেন, ‘‘সচিনের সঙ্গে একই টিমের মালিক হতে পেরে গর্বিত লাগছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করব, কেরলের ফুটবলের সামগ্রিক উন্নতি করতে।’’
এর মধ্যেই আবার মেহতাব হোসেন-রিনো অ্যান্টোদের কোচ হিসেবে উঠে এল স্পেনের জুয়ান মার্টিনেজের নাম। তাঁর সঙ্গে একপ্রস্ত কথাও হয়েছে কেরল কর্তৃপক্ষের।
জুয়ান যখন লেভান্তের কোচ ছিল, তখন তাঁর টিম জোসে মোরিনহোর রিয়েল মাদ্রিদকে ১-০ হারিয়েছিল। তাঁর কোচিংয়ে খেলেছেন নাভাস, টমাস পারতি, অ্যারাওনা কোন, এসিয়ার ডেল হর্নোর মতো ফুটবলার। জুয়ান নিজে লেফট ব্যাকে খেলতেন। তিনি আলমেরিয়ার কোচও ছিলেন। যে টিমটা ২০১৪-’১৫ লা লিগায় অবনমন হয়ে যায়। এই মুহূর্তে আলমেরিয়া দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলছে।
প্রথম বছর কেরল রানার্স হলেও, আইএসএল-টুতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এ বার আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় তারা।