(বাঁ দিক থেকে) অমরদীপ ও রূপম। —নিজস্ব চিত্র।
অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতা দলের অনূর্ধ্ব ১০ কোচিং-এর সুযোগ পেল জলপাইগুড়ির অমরদীপ লাকড়া এবং রূপম রায়। অমরদীপ জলপাইগুড়ি টাউন ক্লাব কোচিং সেন্টারের সদস্য এবং রূপম পাহাড়পুর যুবক সঙ্ঘের কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত। এদের প্রাথমিক ভাবে মুম্বাইতে কোচিং দেওয়ার পর আরও উন্নত কোচিং নেওয়ার জন্যে বিদেশে পাঠানো হবে।
গত মাসের ৯ তারিখে জলপাইগুড়ির ভেটারেন্স ইউনাইটেডের উদ্যোগে অ্যাটলেটিকো দলের প্রতিনিধিরা জলপাইগুড়িতে আসেন। স্থানীয় টাউন ক্লাব মাঠে একটি কোচিং কাম সিলেকশন শিবির অনুষ্ঠিত হয়। জলপাইগুড়ি জেলা থেকে মোট ২০০ জন খুদে ফুটবলার এই শিবিরে অংশ নেয়।
তাদের মধ্যে থেকে ১১ জনকে চুড়ান্ত পরীক্ষার জন্য কলকাতায় ডাকা হয়। গত মাসের ২৮ তারিখে ১১ জনের দলটি কলকাতায় যায়। গত মাসের ২৯ এবং ৩০ তারিখে চূড়ান্ত টিম বাছার শিবির চলে। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি জেলা থেকে তিন জনকে কোচিং-এর জন্য নির্বাচন করা হয়। তার মধ্যে অমরজিত এবং রূপম নির্বাচিত হয়। এ ছাড়াও ওদলাবাড়ির ছেলে শুভদীপ ঘোষ সুযোগ পায়।
ভেটারেন্স ইউনাইটেড ক্লাবের মুখপাত্র গোপাল দে বলেন, “অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতার একজন কর্মকর্তা ফোন করে এদের কোচিং-এর জন্য নির্বাচনের খবর জানিয়েছেন।”
অমরদীপের বাড়ি জলপাইগুড়ির কিং সাহেবের ঘাটের কাছে। ইন্দিরা কলোনির মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের সে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বাবা দিলীপ লাকড়া একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করে। চার ভাইয়ের মধ্যে সে সব চেয়ে ছোট। ফুটবল এবং অ্যাথেলেটিকসের প্রতি তার বরাবরের ঝোঁক। তার মেজদা প্রবীন লাকড়া টাউন ক্লাবের খেলোয়াড়। তার আগ্রহ দেখে প্রবীন তাকে টাউন ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে খেলতে খেলতে ফুটবলের প্রতি তার আগ্রহ বেড়ে যায়। গত নয় তারিখের কোচিং ক্যাম্পের পর কলকাতায় দু’দিনের নির্বচনে সে যায় এবং নির্বাচিত হয়।
রূপমের বাড়ি জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের উল্টো দিকে রাস্তায় এক কিলোমিটার দুরে শাঁখের পাড়ায়। স্থানীয় সেন্ট পলস স্কুলের সে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বাবা জগদীশ রায় একজন কৃষক। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছোট।
পাহাড়পুর যুবক সংঘের মাঠে সে নিয়মিত অনুশীলন করে। গত মাসের নয় তারিখে ক্লাব থেকে ১১ জনের একটি দলকে টাউন ক্লাবে পাঠানো হয়। সেখানে সে নির্বাচিত হয়ে কলকাতায় যায় এবং দু’দিনের নির্বাচনের পরে সে সুযোগ পায়। রূপমের মা রঞ্জিতা রায় বলেন, “আমার ছেলে রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে আগে বল নিয়ে এক ঘণ্টা খেলবে, তারপর পড়তে বসবে। ফুটবলে ওর দারুণ আগ্রহ।”
জলপাইগুড়ি টাউন ক্লাবের সম্পাদক তাপস দত্ত এবং পাহাড়পুর যুবক সংঘের সম্পাদক বিভূতি রায় বলেন, “অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতা ক্লাবের উদ্যোগে ভবিষ্যতে বেশ কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের জন্ম হবে।”