বাইকে বাড়ির দিকে। তার আগে সমর্থকদের আশ্বাসবাণী দিয়ে গেলেন প্লাজা। ছবি : শঙ্কর নাগ দাস।
ডার্বির বল মাঠে গড়াতে এখনও দিন চারেক বাকি। কিন্তু তার আগেই টিকিট নিয়ে বিতর্ক-যুদ্ধে নেমে পড়ল দুই প্রধান। যার জেরে বুধবার সন্ধে থেকেই সরগরম ময়দান!
কেন বিতর্ক? শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে রবিবার আই লিগের ডার্বি ম্যাচের জন্য যে টিকিট বাজারে ছাড়া হয়েছে, তার উপর মোহনবাগানের পুরনো স্পনসরের নাম রয়ে গিয়েছে। আর তা নিয়েই যত বিতর্ক। টিকিটের উপর কিংফিশার ইস্টবেঙ্গল ফুটবল টিমের প্রতিপক্ষ হিসেবে লেখা হয়েছে এমএমবি। বাগানে এর আগে স্পনসর ছিল ম্যাকডাওয়েল। তার আদ্যাক্ষর জুড়েই বছর কয়েক আগে ক্লাবের নাম লেখা হত এমএমবি। মানে ম্যাকডাওয়েল মোহনবাগান। কিন্তু বর্তমানে সেই স্পনসরের সঙ্গে গাঁটছড়া কেটেছে মোহনবাগানের। ফলে হঠাৎ বড় ম্যাচের টিকিটে পুরনো স্পনসরের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ মোহনবাগান কর্তারা।
ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র বলছেন, ‘‘অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে। সম্ভব হলে টিকিট ফের ছাপাতে দিন আয়োজকরা। আমরা ব্যাপারটা ফেডারেশনকে জানাচ্ছি।’’
শিলিগুড়িতে আই লিগের কলকাতা ডার্বি ম্যাচের আয়োজক ইস্টবেঙ্গল। ফলে টিকিট ছাপানোর দায়িত্ব ছিল তাদেরই। কিন্তু কেন ডার্বির টিকিটে বাগানের পুরনো স্পনসরের নামের আদ্যাক্ষর বসে গেল তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। বাগান কর্তাদের দাবি মতো ফের টিকিট ছাপতে দেবেন কি না তা নিয়েও কোনও মন্তব্য করেনি ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘মোহনবাগান এএফসি কাপের প্রবেশপত্রে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ লিখে যেমন ‘মিসটেক’ করেছিল, সে রকম একটা ‘মিসটেক’ হয়ে গিয়েছে আমাদেরও।’’
ফেডারেশন কর্তারা যদিও টিকিটের কপি হাতে না নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না। আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর ফোনে বললেন, ‘‘টিকিটটা এখনও দেখিনি। আগে সেটা দেখি। তার পর আই লিগের নিয়মকানুন দেখে এ ব্যাপারে মন্তব্য করা যাবে।’’