নেপিয়েরের মাঠে সকালেই আগুন ধরালেন শামি। পর পর দুটো উইকেট তুলে নিলেন। প্রবেশ করলেন দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকারের তালিকার প্রথম দশে। টপকে গেলেন ইরফান পাঠানকে। দেখে নেওয়া যাক। এই তালিকার প্রথম দশে কারা কারা রয়েছেন।
প্রথমেই রয়েছেন আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খান। ৪৪টি ম্যাচে ১০০ উইকেটের মাইলস্টোন স্পর্শ করেন তিনি। শততম উইকেটটি পান ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হারারেতে।
এর পর রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। ৫২তম ম্যাচে ১০০টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। শততম উইকেটটি পান ২০১৬ সালের ২১ অগস্ট, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কলম্বোতে।
পাকিস্তানের সাকলিন মুস্তাক রয়েছেন এই তালিকার তৃতীয় স্থানে। ৫৩টি ম্যাচ খেলে ১০০টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। শততম উইকেটটি পান ১৯৯৭ সালের ১২ মে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গ্বালিয়রে।
নিউজিল্যান্ডের বোলার শেন বন্ড রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। ৫৪টি ম্যাচ খেলে ১০০ উইকেটের পেয়েছিলেন তিনি। শততম উইকেটটি পান ২০০৭ সালের ২৩ জানুয়ারি, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে।
পঞ্চম স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলীয় বোলার ব্রেট লি। ২০০৩ সালের ২৫ জানুয়ারি মেলবোর্নে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শততম উইকেটটি পান তিনি। সেটি ছিল তাঁর ৫৫তম ম্যাচ।
তালিকায় ব্রেট লির পরেই জায়গা করে নিলেন মহম্মদ শামি। ৫৬ তম ম্যাচে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ১০০টি উইকেটের অধিকারী হলেন শামি।
শামি ছুঁয়ে ফেললেন নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্টকে। ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর ক্রাইস্টচার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শততম উইকেটটি পান তিনি। সেটিও ছিল তাঁর ৫৬ তম ম্যাচ।
শামি পিছনে ফেললেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহিরকে। ২০১৬ সালের ২৫ জুন বাসেতেরেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শততম উইকেটটি পান তিনি। সেটি ছিল তাঁর ৫৮ তম ম্যাচ।
তালিকায় দশম স্থানে রয়েছেন ওয়াকার ইউনিস। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে আবু ধাবিতে শততম উইকেটটি দখল করেন তিনি। সেটি ছিল তাঁর ৫৯তম ম্যাচ। ২০০৬ সালের ১৯ এপ্রিল এই তালিকায় নাম লেখান তিনি।
তালিকায় ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গেই রয়েছেন ভারতীয় বোলার ইরফান পাঠান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আবু ধাবিতে শততম উইকেটটি দখল করেন। সেটি ছিল তাঁর ৫৯ তম ম্যাচ। ২০০৬ সালে এই তালিকায় নাম লেখান তিনি।