ব্যর্থ কমলপ্রীত। ছবি পিটিআই
ফাইনালে উঠেও দেশকে ডিসকাসে পদক দিতে পারলেন না কমলপ্রীত। নামীদামি তারকাকে পিছনে ফেলে ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত লড়েওছিলেন। কিন্তু পদক নিয়ে ফিরতে পারলেন না।
শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ছিলেন কমলপ্রীত। প্রথম প্রচেষ্টায় ৬১.৬২ মিটার ছুঁড়েছিলেন। পরের থ্রো-তে সঠিক পদ্ধতিতে ছুঁড়তে পারেননি। সেটি ফাউল হয়। তৃতীয় থ্রোয়ের আগেই তিনি আচমকা নেমে গিয়েছিলেন ন’নম্বরে। প্রথম আটে থাকতে গেলে অন্তত ৬১.৮১ মিটার ছুঁড়তেই হত। কমলপ্রীত ৬৩.৭০ ছুঁড়ে প্রথম আটে জায়গা নিশ্চিত করে নেন। শেষ করেন ছয়ে।
নিয়ম অনুযায়ী ফাইনালে ওঠা ১২ জন তিনটি করে সুযোগ পেয়েছিলেন। তারপর দূরত্বের বিচারে তালিকার শেষে থাকা চারজন বাদ পড়েন। এরপর প্রথম আটজন পদকের লড়াই শুরু করেন। কমলপ্রীত ছিলেন ছয় নম্বরে। প্রত্যেকে ফের তিনটি করে সুযোগ পান।
প্রথম প্রচেষ্টায় তাঁর থ্রো ফাউল হয়। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ৬১.৩৭ মিটার ছোঁড়েন। তৃতীয় থ্রোটিও ফাউল হয়। অর্থাৎ নিজের তৃতীয় প্রচেষ্টা যে দূরত্ব অতিক্রম করেছিলেন, সেটাই কমলপ্রীতকে সাহায্য করেছে ষষ্ঠ স্থানে শেষ করতে।
এর আগে অলিম্পিক্সের ডিসকাসে কখনও এত ভাল ফল করেনি ভারত। কমলপ্রীত প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ষষ্ঠ স্থানে শেষ করলেন। রবিবার বলেছিলেন, ফাইনালের নিজের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি সেটা পারতেন বা নিজের সেরার কাছাকাছি যেতেন, তাহলে রুপো নিশ্চিত ছিল তাঁর নামের পাশে।
প্রথম দুটি রাউন্ড হওয়ার পর প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। বেশ কিছু খেলোয়াড় থ্রো করতে গিয়ে পিছলে পড়েন। হাত থেকে ডিসকাস ছিটকে যায় অনেকের। বাধ্য হয়ে আয়োজকরা এই ইভেন্ট বন্ধ রাখেন কিছুক্ষণ। ভারতীয় সময় সন্ধে ছ’টার কিছুক্ষণ আগে ফের খেলা শুরু হয়।
৬৮.৯৮ মিটার থ্রো করে সোনা জিতলেন আমেরিকার ভ্যালেরি অলম্যান। ৬৬.৮৬ মিটার ছুঁড়ে দ্বিতীয় জার্মানির ক্রিস্টিন প্রুডেঞ্জ। তৃতীয় কিউবার ইয়ামি পেরেজ (৬৫.৭২)।