গৌতম গম্ভীর বনাম মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
রবিন উথাপ্পা বনাম রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
সুনীল নারিন বনাম সুরেশ রায়না।
আইপিএলের জিভে জল আনা এক একটা যুদ্ধ। কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ যা দিয়ে চেনা যায়। বুধবারের হায়দরাবাদে দুটো টিম আবার মুখোমুখি, তফাত শুধু দুটো ব্যাপারে।
এক, মঞ্চটা আইপিএল নয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি।
দুই, তিন মাসে পরিস্থিতির পাল্টে যাওয়া। ১ জুন বেঙ্গালুরুর কেকেআর ছিল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর। যারা কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে হারিয়ে আইপিএল সেভেন জিতে মাঠ ছেড়েছিল। আর ১৭ সেপ্টেম্বরের কেকেআর বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত কেকেআর। তিন বিদেশি নেই। কারও চোট। কেউ দেশ থেকে ছাড়পত্র পাননি।
পেস ব্যাটারির প্রধান অস্ত্র মর্নি মর্কেলকে পুরো টুর্নামেন্টেই পাচ্ছে না কেকেআর। তাঁর কাঁধে চোট। গত আইপিএলে এবি ডে’ভিলিয়ার্সের অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরে শিরোনামে আসা ক্রিস লিনেরও কাঁধে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় আঘাত সম্ভবত সাকিব আল হাসানকে না পাওয়া। আইপিএল সেভেন জয়ের পর যাঁকে টিমের অলিখিত ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট বলা হচ্ছিল। সাকিবকে বাংলাদেশ বোর্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি খেলার ছাড়পত্র দেয়নি।
পরিস্থিতি যা, তাতে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে কেকেআরের হাতে পড়ে পাঁচ বিদেশি। যাঁদের মধ্যে জাক কালিস, সুনীল নারিন, রায়ান টেন দুশখাতের খেলা প্রায় নিশ্চিত। কালিস ফর্মে আছেন। হায়দরাবাদ একাদশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে ভাল রানও করেছেন। চতুর্থ বিদেশির জায়গাটা নিয়ে লড়াই হতে পারে আন্দ্রে রাসেল এবং প্যাট কামিন্সের মধ্যে। মঙ্গলবার উপ্পলে রাসেলকে অনেকক্ষণ ব্যাট করিয়েও রাখা হল। কেউ কেউ মনে করছেন, সাকিবের অনুপস্থিতিতে দেশের একমাত্র চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবকে খেলালে লাভ হতে পারে।
আরও একটা ব্যাপার নিয়ে চিন্তা থাকছে। সেটা শুধু কেকেআরের নয়, চেন্নাইয়েরও। সেটা, হায়দরাবাদের বৃষ্টি। এ দিন দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে হায়দরাবাদে। আউটফিল্ডও নাকি ভেজা। বুধবারও বৃষ্টির আশঙ্কা আছে।