আঠেরো মাস আগে খাট থেকে নামতে গেলে অন্য কারও সাহায্য লাগত। মনে হত কখনও আর গল্ফ কোর্সে ফেরা হবে না। কোমরের চোট সারাতে চার বার অস্ত্রোপচার করতে হয়। কিন্তু চোট সারিয়ে ফিরেই চমকে দিলেন টাইগার উড্স। তবে টাইগার একা নন, আগেও এমন ‘চমক’ প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে এমনই কিছু।
মাইকেল জর্ডান: কিংবদন্তি বাস্কেটবলার মাইকেল জর্ডান অজ্ঞাত কারণে ১৯৯৩ সালে খেলা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু দু’বছর পরেই ১৯৯৫ সালে ফেরেন পেশাদার বাস্কেটবলে। বাস্কেটবলের বিখ্যাত ২৩ নম্বর জবাব দিয়েছিলেন কোর্টে নেমেই। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮— টানা তিন বছর ফাইনালে উঠে খেতাব জেতেন তিনি।
সচিন তেন্ডুলকর: বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান সচিন তেন্ডুলকরের কেরিয়ারকে ২০০৪-’০৫ মরসুমে প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল কনুইয়ের চোট ‘টেনিস এলবো’। ২০০৫ সালে অস্ত্রোপচারের পরে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়ান সচিন। সুস্থ হয়ে ফিরেই এক দিনের ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিশতরান করেন। চ্যাম্পিয়ন হন বিশ্বকাপ ক্রিকেটেও।
মনিকা সেলেস: ১৯৯০ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ফরাসি ওপেন জেতেন টেনিস খেলোয়াড় মনিকা সেলেস। কিন্তু ১৯৯৩ সালে খেলাচলাকালীন এক আততায়ীর হাতে ছুরিকাহত হন তিনি। যার ফলে দু’বছরের বেশি সময় কোর্টে দেখা যায়নি সেলেসকে। কিন্তু তার পরে কোর্টে ফিরেই ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হন মনিকা সেলেস।
জর্জ ফোরম্যান: ১৯৮৭ সালে মার্কিন পেশাদার বক্সার ৩৮ বছর বয়সে দ্বিতীয় বার রিংয়ে ফিরে আসেন। তাও আবার এক দশক পরে। প্রত্যাবর্তনের পরে জর্জ ফোরম্যান নানা খেতাব জিতলেও বড় চমক দেন ১৯৯৪ সালে ৪৫ বছর বয়সে। ১৮ বছরের ছোট মাইকেল মুরারকে হারিয়ে বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন।
টাইগার উড্স: আটলান্টায় ট্যুর চ্যাম্পিয়নশিপ জয়। পাঁচ বছর পেরিয়ে তাঁর প্রথম খেতাব। যা ফের স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছে তাঁর ভক্তদের মনে। দুনিয়া ব্যাপী আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে, খেলার মঞ্চে এটাই সর্বকালের সেরা প্রত্যাবর্তন কি না?