অপ্রতিরোধ্য: দুর্দান্ত গতিতে এভাবেই বক্সের মধ্যে বিপজ্জনক হয়ে উঠতেন বলবীর সিংহ। হকি ইন্ডিয়া টুইটার
তিন বারের অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন। ভারতীয় হকির কিংবদন্তি বলবীর সিংহ সিনিয়রের শনিবার জীবনাবসান হয়েছে। চণ্ডীগড়ের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৯৫ বছরের বলবীর। তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছে ভারতীয় ক্রীড়ামহল। বিরাট কোহালি টুইট করেন, ‘‘বলবীর সিংহ সিনিয়রের মৃত্যুর খবর শুনে মন ভারাক্রান্ত হয়ে গেল। তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’’ সচিন তেন্ডুলকরের টুইট, ‘‘ভারতীয় হকির ইতিহাসে তিনি ছিলেন অন্যতম সেরা ব্যক্তিত্ব। তাঁর আত্মার শান্তিকামনা করছি।’’ বীরেন্দ্র সহবাগের টুইট, ‘‘বলবীর সিংহজি চলে গেলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।’’
খেলোয়াড় ছাড়া কোচ হিসেবেও দেশকে দিয়েছেন সাফল্য। ১৯৭১ সালে উদ্বোধনী হকি বিশ্বকাপে ভারত ব্রোঞ্জ জেতে। ১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপ জয়ী দলেরও ম্যানেজার তিনি। ভারতের এক মাত্র হকি বিশ্বকাপ জয়ের সময় ‘বিধ্বস্ত’ দলকে চাঙ্গা করে তুলেছিলেন উৎসাহ দিয়ে। সে বার ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন অজিত পাল সিংহ। ছিলেন ধ্যানচাঁদের ছেলে অশোক কুমারও। গ্রুপ পর্যায়ে ১-২ আর্জেন্টিনার কাছে হারের পরে ভারতীয় দলের আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা লেগেছিল। ‘‘বলবীর সিংহ সিনিয়র আমাদের প্রাতরাশে নিয়ে গিয়ে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে আলাদা করে উৎসাহ দিয়েছিলেন,’’ বলেছেন অজিত পাল সিংহ। সেই পরামর্শে ফল মিলেছিল। পশ্চিম জার্মানিকে ৩-১ হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে ভারত। শেষ চারে মালয়েশিয়াকে ৩-২ হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হন অজিত পাল সিংহরা। ভারত জেতে ২-১ গোলে।
বলবীরের অলিম্পিক্স অভিষেক ১৯৪৮ সালে। প্রতিপক্ষ ছিল আর্জেন্টিনা। ছ’টি গোল করেন তিনি সেই ম্যাচে। ফাইনালেও গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে দুটি গোল করেন। ১৯৫২ সালে হেলসিঙ্কি অলিম্পিক্সে ভারতের মোট ১৩টি গোলের মধ্যে তাঁর গোল ছিল ৯টি। ফাইনালে পাঁচ গোল। ১৯৫৬ মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে আফগানিস্তােনর বিরুদ্ধে পাঁচ গোল।
আরও পড়ুন: বিতর্ক বাড়িয়ে মেসিকে জবাব বার্সা কোচের
আরও পড়ুন: ডার্বি নিয়ে উদ্বেগে সুব্রত, ভাইচুংরাও