হায়দরাবাদে অলিম্পিক্সের তিন তারকা পিভি সিন্ধু, দীপা কর্মকার ও সাক্ষী মালিক এবং জাতীয় ব্যাডমিন্টন কোচ পুল্লেলা গোপীচন্দের হাতে বিএমডব্লিউ গাড়ির চাবি তুলে দিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ছবি: পিটিআই
তিন কন্যার একজনের গলায় অলিম্পিক্সে রুপোর পদক। একজনের ব্রোঞ্জ। অন্য জন অল্পের জন্য পদক মিস করে চতুর্থ। তিনজন-ই সাফল্যে নিজেদের খেলায় এ দেশে পথিকৃত। পিভি সিন্ধু, সাক্ষী মালিক এবং দীপা কর্মকার। আর সচিন তেন্ডুলকর মনে করছেন, ব্যাডমিন্টন, কুস্তি আর জিমন্যাস্টিক্সে তিন কন্যার সাফল্য এ দেশে এই তিন খেলার অসাধারণ যাত্রার সবে শুরু। সিন্ধু-সাক্ষী-দীপার হাত ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন-কুস্তি-জিমন্যাস্টিক্স আরও অনেক অনেক উপরে উঠবে।
রিও অলিম্পিক্সে নজর কাড়া পারফরম্যান্স করে ফেরা তিন ভারতীয় মহিলা ক্রীড়াবিদের হাতে তাঁদের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে আজ সচিন-ই তুলে দেন একটা করে বিএমডব্লিউ গাড়ির চাবি। একই অনুষ্ঠানে সিন্ধুর কোচ পুল্লেলা গোপীচন্দকেও বিএমডব্লিউ গাড়ি পুরস্কার দিলেন হায়দরাবাদ ব্যাডমিন্টন সংস্থার প্রেসিডেন্ট চামুন্ডেশ্বরনাথ। সচিনের এই ঘনিষ্ঠ বন্ধু চারটে বিলাসবহুল গাড়িই স্পনসর করে ভারতীয় ক্রিকেট আইকনের হাত দিয়ে সিন্ধু-গোপীদের পুরস্কৃত করেন।
রিওতে ভারতীয় অলিম্পিক্স দলের শুভেচ্ছা-দূত সচিন এ দিনের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘গোটা দেশ এই আনন্দের মুহূর্তে উৎসব করার সময় যেন এটাও মনে রাখে যে, আরও বড় সুসময় ভারতীয় খেলাধুলোয় আসছে। আমি নিশ্চিত এরা এখানেই থামবে না। বরং এটা ওদের অসাধারণ সফরের সবে শুরু।’’ গোপীকে আলাদা ভাবে সচিন তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘‘আপনি একজন অসাধারণ রোলমডেল। আপনার মতো গুরুর পরামর্শ আমাদের দেশের খেলাধুলোয় আরও দরকার।’’ জবাবে গোপী বলেন, ‘‘ভারত আগে বলত, ‘শিশু কন্যা বাঁচাও’। রিও অলিম্পিক্সের পরে এখন তো বলা উচিত, ‘মেয়ে বাঁচাও’।’’
সিন্ধু রসিকতা করে সচিনকে মনে করিয়ে দেন, ‘‘আমাকে এর আগে সচিন স্যর যখন সুইফ্ট ডিজায়ার পুরস্কার দিয়েছিলেন, বলেছিলেন, আমি অলিম্পিক্সে পদক জিতলে আরও বড় একটা গাড়ি পুরস্কার দেবেন। আজ সেই দিন।’’ সাক্ষী বলেন, ‘‘রিও গিয়েছিলাম একা। আর এখন গোটা দেশ আমার সঙ্গে। আর দীপা বলেন, ‘‘পদক না জিতেও আমি যা সমর্থন পাচ্ছি, ভাবা যাচ্ছে না!’’