এখন একদিনের ক্রিকেটে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে নয় নম্বরে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কয়েকদিন পরেই ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে নামবে ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু, ঘোষিত দল রীতিমতো অনভিজ্ঞ। দলে নেই ক্রিস গেল, সুনীল নারিনের মতো ‘স্টার’ ক্রিকেটাররা। কেমন হত, যদি জেসন হোল্ডারের নেতৃত্বে এই ক্রিকেটাররা নামতেন ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে।
ক্রিস গেল: বাঁহাতি ওপেনার মাঠে নামলেই গড়েন রেকর্ড। আক্রমণাত্মক এই ব্যাটসম্যান ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে খেলছেন না। কেরিয়ারে ২৮৪ একদিনের ম্যাচ খেলে গেলের মোট রান ৯৭২৭। নিয়েছেন ১৬৫ উইকেটও।
এভিন লুইস: দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে লুইস লামলেই কেল্লাফতে। ৩৫ একদিনের ম্যাচেই করেছেন ১০১০ রান। স্ট্রাইক রেট ৮২.৩১। চোটের কারণে আপাতত খেলতে পারছেন না। তাঁকে মিস করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ড্যারেন ব্রাভো: তাঁর নেওয়া বিভিন্ন শটের সঙ্গে মিল রয়েছে তুতো-ভাই ব্রায়ান লারার। তুলনা টানাও হয় সেই কারণে। বাঁ-হাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৯৪ ওয়ানডে খেলে করেছেন ২৫৯৫ রান। বোর্ডের সঙ্গে বচসার কারণে জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ফিরেছেন। কিন্তু, একদিনের দলে তিনি নেই।
দীনেশ রামদিন: ১৩৯ ওয়ানডে খেলে করেছেন ২২০০ রান। নিয়েছেন ১৮১টি ক্যাচ। শুধু উইকেটকিপার হিসেবেই নয়, ব্যাটসম্যান হিসেবেও তিনি বড় ভরসা। তাঁর অনুপস্থিতিতে মিডল অর্ডারে গভীরতা উধাও।
কিয়েরন পোলার্ড: বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। সঙ্গে কাজ-চালানো বোলিং। ত্রিনিদাদের এই ক্রিকেটার ১০১ ওয়ানডে খেলে করেছেন ২২৮৯ রান। স্ট্রাইক রেট ৯২.৮৯। বোর্ডের সঙ্গে তাঁরও ছিল সমস্যা। একদিনের দলে জায়গা পাননি তিনি। তবে পোলার্ড ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে আছেন।
আন্দ্রে রাসেল: একদিনের ফরম্যাটের আদর্শ ক্রিকেটার। বড় শট নিতে পারেন। জোরে বল করতে পারেন। উইকেট নেওয়ার ক্ষমতার পরিচয়ও রেখেছেন। কিন্তু ওয়ানডে স্কোয়াডে তিনি নেই। ৫২ ওয়ানডে খেলে নিয়েছেন ৬৫ উইকেট। আইপিএল থেকে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, সর্বত্র তিনি সফল।
ডোয়েন ব্রাভো: ড্যারেন ব্রাভোর দাদা ডোয়েনও দুর্দান্ত অলরাউন্ডার। ১৬৪ ওয়ানডে খেলে করেছেন ২৯৬৮ রান। নিয়েছেন ১৯৯ উইকেট। কিন্তু, বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলা তাঁরও। ফলে, বিশ্বজুড়ে খেলে বেড়ান টি-টোয়েন্টি লিগে। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে থাকলে ভারতের চিন্তা বাড়ত।
ড্যারেন সামি: তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। কিন্তু, বোর্ডের কাজকর্মে অসন্তুষ্ট তিনিও। ফলে, জাতীয় দলে ঠাঁই হচ্ছে না। ১২৬ ওয়ানডে খেলে ১৮৭১ রান করেছেন। নিয়েছেন ৮১টি উইকেট। ২০১৬ সালে শেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন।
সুনীল নারিন: রহস্যময় স্পিনার। ৬৫ একদিনের ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ৯২ উইকেট। তাঁর বল বোঝা মুশকিল। কোনদিকে ঘুরবে, ধরতে সমস্যায় পড়েন ব্যাটসম্যানরা। তাঁর ভেলকি কাজে লাগাতে পারলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো কঠিন। কিন্তু, দলেই নেই তিনি।
জেসন হোল্ডার: ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে তিনিই অধিনায়ক। ডানহাতি অলরাউন্ডার ৮০ ওয়ানডে ম্যাচে করেছেন ১২৬২ রান। নিয়েছেন ১১০ উইকেট। তবে চোটের জন্য ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে তিনি খেলেননি।
কেমার রোচ: হোল্ডারের নেতৃত্বে ওযেস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে স্কোয়াডে রয়েছেন তিনিও। ৭২ একদিনের ম্যাচে ডানহাতি পেসার নিয়েছেন ১০৯ উইকেট। ঠাকুমার মৃত্যুর জন্য প্রথম টেস্টে তিনি খেলতে পারেননি। ফিরে গিয়েছিলেন দেশে। ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য জাতীয় দলের অন্যতম ভরসা এই ফাস্ট বোলার।