টি২০ চালু হওয়ার পর থেকেই পাল্টে গিয়েছে ক্রিকেটের চরিত্র। ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্রতম সংস্করণ চিন্তায় ফেলেছে টেস্টকেও। ২০ ওভারের এই মহারণ শুরু হওয়ার পর থেকে এই ফর্ম্যাটকে বিদায় জানিয়েছেন বহু বিখ্যাত ক্রিকেটার। অবসর নেওয়া সেই সব ক্রিকেটারদের নিয়ে আমরা তৈরি করলাম এক একাদশ, যা এই মুহূর্তে যে কোনও দলকে টেক্কা দিতে পারে। দেখে নিন সেই মহা পরাক্রমী সেই দলের তারকাদের।
ব্রেন্ডন ম্যাকালাম: আন্তর্জাতিক টি২০ কেরিয়ারে দু’টি সেঞ্চুরি রয়েছে ম্যাকালামের। নিজের দিনে যে কোনও বোলিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দিতে পারেন এই কিউয়ি উইকেটরক্ষক ওপেনার।
তিলকরত্নে দিলশন: দিলস্কুপের আবিষ্কর্তা শ্রীলঙ্কার এই প্রাক্তন ওপেনার দেশের হয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। প্রায় তিরিশের গড় নিয়ে খেলা দিলশনের স্ট্রাইক রেট প্রায় ১২১।
কেভিন পিটারসন: ছোট ফর্ম্যাটে ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩৭ ম্যাচ খেলা কেপির গড় ৩৮। স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৪২।
এবি ডে’ভিলিয়ার্স: বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান। মিডল অর্ডারে নেমে যে কোনও বোলিংকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখা এবি আমাদের একাদশের চার নম্বরে নামবেন।
কুমার সঙ্গাকারা: শ্রীলঙ্কার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান টি২০-তে বেশির ভাগ রানই করেছেন একেবারে ক্রিকেটীয় শটে। দেশের হয়ে ৫৮ ম্যাচ খেলা এই বাঁহাতি এই দলের অধিনায়ক।
মাইক হাসি: মিস্টার ক্রিকেটকে বাদ দিয়ে এই দল ভাবা সম্ভবই নয়। বিভান পরবর্তী অজি ক্রিকেটে ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা যেত তাঁকে। ৩৮ গড়ে প্রায় ১৩৬ স্ট্রাইক রেটে খেলা হাসি নামবেন ছ’নম্বরে।
শাহিদ আফ্রিদি: টি২০-তে অসাধারণ কিছু রেকর্ড রয়েছে এই পাক অলরাউন্ডারের। ৯৯টি আন্তর্জাতিক টি২০-তে ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন তিনি। নিয়েছেন ৯৮টি উইকেট।
মিচেল জনসন: ক্রিকেটের অন্যতম ভয়ঙ্কর এই বাঁহাতি পেসার ৩০টি আন্তর্জাতিক টি২০ খেলেছেন। ইকনমি মাত্র ৭.২৯। লোয়ার মিডলে অজি তারকার ব্যাটিং দক্ষতাও বেশ ভাল।
শন টেট: মারাত্মক গতি এবং ইয়র্কারের জন্য টেটকে অন্যতম সেরা পেসার বলা হত সেই সময়। কিন্তু চোট তাঁকে বেশি দিন খেলতে দেয়নি। আমাদের দলের পেস বিভাগের দায়িত্ব থাকবে তাঁর উপর।
সইদ আজমল: টি২০-র অন্যতম ভয়ঙ্কর বোলার। পাকিস্তানের এই স্পিনারের টি২০ ইকনোমি ৬.২৬।
আশিষ নেহরা: এই ফর্ম্যাটে ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার। ২৭ ম্যাচে ৩৪ উইকেট নেওয়া নেহরা থাকছেন আমাদের এই দলে।