মানবিক: রিচার সময় কাটছে অনুশীলন করে আর সিনেমা দেখে।
গত মাসেই মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় জার্সি গায়ে নামতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ বার করেনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ত্রাণ তহবিলে এক লক্ষ টাকা অনুদান দিয়ে ক্রীড়াজগতের ব্যক্তিত্বদের চমকে দিলেন ১৬ বছর বয়সি রিচা ঘোষ। শনিবার তাঁর এক লক্ষ টাকার চেক জমা দেওয়া হয় স্টেট এমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডে।
করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে এসেছেন ক্রীড়াজগতের বহু ব্যক্তিত্ব। ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। সুরেশ রায়না দিয়েছেন ৫২ লক্ষ টাকা। তাঁদের দেখেই অনুপ্রাণিত বাংলার কন্যা রিচা। এখানেই থেমে থাকেননি। শিলিগুড়ি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনেও ২০ হাজার টাকা দান করার পরিকল্পনা রয়েছে রিচার। তরুণ ক্রিকেটারের বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ বলছিলেন, “সারা বিশ্বের এই অবস্থা দেখে পরিবারের প্রত্যেকে চিন্তিত। তাই এর মধ্যেই পরিবারের প্রত্যেকে একসঙ্গে বসে আলোচনা করি, কী করা যায়। রিচাই আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে আমাকে বলে।”
রিচা নিজেও গৃহবন্দি। কী করছেন এই পরিস্থিতিতে? বলছিলেন, “বাড়িতেই থাকছি। কখনও ট্রেনিং করছি। শ্যাডো প্র্যাক্টিসও চলছে। তা ছাড়া ভাল-ভাল সিনেমা দেখছি।” রিচা বলিউড অভিনেতা টাইগার শ্রফের ভক্ত। তাঁর সিনেমাই কি দেখছিলেন? তরুণীর উত্তর, “সব রকম সিনেমাই দেখছি। প্রত্যেককে অনুরোধ করব। আপনারাও বাড়ি থেকে বেরোবেন না।”
এ দিকে, এক লক্ষ টাকা অনুদান দিলেন বাংলার রঞ্জি ট্রফিজয়ী অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বললেন, “আমরা যখন ক্রিকেট খেলতাম, তখন যত শক্তিশালী প্রতিপক্ষই হোক, তাঁদের তো নিজের চোখে দেখতে পেতাম। কিন্তু এই প্রতিপক্ষ অদৃশ্য। কী ভাবে এর মোকাবিলা করা যায় আমাদের জানা নেই। তাই যতটা সাহায্য করা যায় সেই চেষ্টাই করেছি। প্রার্থনা করি, যেন দ্রুত এই সঙ্কট কাটিয়ে ওঠে পৃথিবী। নতুন ভোরের অপেক্ষায় রইলাম।”