শতরানের পর তামিম ইকবাল। ছবি- গেটি ইমেজেস।
এশিয়া কাপের শুরুতে ছিলেন না দলের সঙ্গে। পরে বাধ্য হয়েই তাঁকে নিতে হয়েছিল দলে। একটু সময় লাগল ঠিকই কিন্তু বিশ্বকাপের আসরে শুরু থেকেই জাত চেনালেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে করে ফেললেন রেকর্ডও। তাঁর ব্যাট থেকেই এল বিশ্বকাপের আসরে ১০০০ রান। সেঞ্চুরি তো ছিলই সঙ্গে। তাঁর ঠিক পিছনে ৯৯৬ রান করে রয়েছেন সাকিব। আজ যিনি বল হাতে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করলেন। নিলেন ৪ উইকেট।
শুরুটা করেছিলেন ধিরে সুস্থেই। তারাহুরো করতে গিয়ে ভুল করতে চাননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। আর এক ওপেনার সৌম্য প্যাভেলিয়নে ফিরতেই দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করলেন তামিম। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত সাব্বির রহমানের। শুরু হল চার, ছয়ের ঝড়। বল হাতে যেন কাউকে রেয়াত করার জায়গায় নেই তিনি। মাত্র ৬৩ বলে করলেন ১০৩ রান। থাকলেন অপরাজিত। তাঁর এই ইনিংস সাজানো ছিল ১০টি বাউন্ডারি ও ৫টি ওভার বাউন্ডারিতে। থাকলেন অপরাজিত। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে টি২০ বিশ্বকাপে তাঁর ব্যাট থেকেই এল প্রথম সেঞ্চুরি। সাব্বির রহমান করলেন ২৬ বলে ৪৪ রান। ৯ বলে ১৭ রান করে তামিমের সঙ্গে অপরাজিত থাকলেন সাকিব। মাত্র দু’উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করল বাংলাদেশ।
ব্যাট করতে নেমেই উইকেট হারিয়ে চাপে চলে যাওয়া ওমানকে বেগ দিল বৃষ্টিও। বৃষ্টির জন্য দু’বার বন্ধ হল খেলা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ দাঁড়াল ১২ ওভারের। সেখানে টার্গেট ১২০ রানের। যার কাছে পৌঁছতে পারল না ওমান। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৫৪ রানে ম্যাচ জিতে নিল বাংলাদেশ। ওমানের ইনিংস ৯ উইকেট হারিয়ে শেষ হয়ে গেল ৬৫ রানে। সাকিবের চার উইকেট ছাড়াও একটি করে উইকেট নিলেন তাসকিন, আল আমিন, মাশরাফি ও সাব্বির। ম্যাচের সেরা হয়েছেন তামিম।
আরও খবর
ওমানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
পরীক্ষা দিয়ে ফিরলেন সানি, মাঠে নামতে প্রস্তুত মুস্তাফিজুর