টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে উল্লাস বিরাট কোহলির। ছবি: এক্স।
আনন্দে কাঁদছিলেন তাঁরা। ছোট শিশুর মতো। ভারত বিশ্বকাপ জেতার পরে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা। সেই কান্না দেখে বিরাট-ঘরনি অনুষ্কা শর্মাকে প্রশ্ন করে ছোট্ট মেয়ে ভামিকা। সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন অনুষ্কা।
অনুষ্কা সমাজমাধ্যমে সেই কথা জানিয়েছেন। বিরাটদের ট্রফি তোলা ও উল্লাসের কয়েকটি ছবি দেন তিনি। লেখেন, “টেলিভিশনে সবাইকে কাঁদতে দেখে আমাদের মেয়ের সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল, ওদের কান্না মোছাতে কে জড়িয়ে ধরবে? আমার ছোট্ট সোনা, ওদের কান্না মোছানোর জন্য ১৫০ কোটি ভারতবাসী রয়েছেন। কী দারুণ জয়। কী দারুণ কৃতিত্ব। চ্যাম্পিয়নদের শুভেচ্ছা।”
বিশ্বকাপের মাঝে গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল অনুষ্কাকে। নিউ ইয়র্কে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ছিলেন তিনি। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে দেখা যায়নি তাঁকে। বিশ্বকাপ জেতার পরে বিরাটকে দেখা যায়, ফোনে কথা বলছেন। বোঝা যাচ্ছিল, স্ত্রী, সন্তানদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। বিরাটের উচ্ছ্বাস দেখার মতো ছিল। এত দিন পরে বিশ্বকাপ জিতে উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারছিলেন না তিনি।
শনিবারের ম্যাচে ধৈর্য রেখে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত ওই ইনিংস ভারতকে বড় স্কোরে দাঁড় করিয়ে দেয়। ট্রফি জিতে কোহলি জানিয়ে দেন, দেশের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেললেন তিনি। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে তিনি বলেন, “এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। ঠিক যেটা অর্জন করতে চেয়েছিলাম সেটাই করেছি। মাঝে মাঝে এটা মনে হয় যে আপনি হয়তো রান পাচ্ছেন না। তার পরেই একটা বড় রান চলে আসে। আসলে আমার কাছে ব্যাপারটা ছিল, হয় এখন, না হলে কখনও নয়।”
তখনও কোহলি পরিষ্কার করে ইঙ্গিত দেননি যে তিনি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছেন। সঞ্চালক ভোগলে আবার সেই প্রশ্ন করেন। কোহলি বলেন, “এটাই ভারতীয় দলের হয়ে আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। আমরা বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। জোর করে কোনও পরিস্থিতি তৈরি করার থেকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া উচিত। সবাই জানত এর পরে কী হতে চলেছে। এটাই সময় নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার। অসাধারণ সব ক্রিকেটার রয়েছে দলে। ওরাই দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দলকে আরও উঁচুতে তুলবে।”