কিংবদন্তির আগমন ভারতীয় ড্রেসিংরুমে। ছবি: সংগৃহীত।
কিংবদন্তির আগমন ভারতীয় ড্রেসিংরুমে। সেরা ফিল্ডার বেছে নেওয়ার সময় হঠাৎই হাজির তিনি। অ্যান্টিগায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত জেতার পরে স্যর আইজ্যাক ভিভিয়ান আলেকজান্ডার রিচার্ডস পদক পরিয়ে দেন সূর্যকুমার যাদবের গলায়। প্রশংসা করে যান ভারতীয় দলের উইকেটকিপার ঋষভ পন্থের। গাড়ি দুর্ঘটনার আতঙ্কের পর্ব দূরে সরিয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনে মুগ্ধ তিনিও।
ভারতীয় ড্রেসিংরুমে সেরা ফিল্ডারের অনুষ্ঠান শুরু হতেই ফিল্ডিং কোচ টি. দিলীপ বলে দেন, ‘‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সকলে অসাধারণ ফিল্ডিং করেছে। প্রত্যেক দিন ধীরে ধীরে উন্নতি করে চলেছি আমরা। কিন্তু এই ম্যাচের পরে এক জনের ফিল্ডিং সকলের মন জয় করেছে। তার নাম, সূর্যকুমার যাদব।’’ যোগ করেন, ‘‘কিন্তু এই পুরস্কার দিতে আসছেন এক কিংবদন্তি। তা হলে তাঁকে ডেকে নেওয়া যাক, স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডসআপনাকে স্বাগত।’’
ভিভ এসেই প্রথমে হাত মেলান বিরাট কোহলির সঙ্গে। তার পরে পন্থের কাছে গিয়ে রিচার্ডস বলেন, ‘‘তুমি যে পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করে মাঠে ফিরে এসেছ, তা সত্যিই অকল্পনীয়। তুমি মাঠে না ফিরলে আমরা অনেক কিছুর অভাব অনুভব করতাম। তোমার মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারের প্রত্যাবর্তন খুবই জরুরি ছিল। ক্রিকেটকে তোমরা নিশ্চয়ই এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’
ঋষভ যে ভঙ্গিতে ইনিংস গড়েন, তা-ও মুগ্ধ করেছে ভিভকে। তিনি বলেছেন, ‘‘তোমার ব্যাট করার ধরন আমার খুব ভাল লাগে। যে ভঙ্গিতে ইনিংস গড়ো, তা এক কথায় অসাধারণ। খুব খুব ভাল।’’
পন্থ প্রশংসা শুনে রিচার্ডসকে জড়িয়ে ধরেন। তাঁকে বুকে টেনে নিয়ে পিঠে চাপড় মেরে কিংবদন্তি বলেন, ‘‘ঋষভ, তুমি আমার পকেট রকেট।’’
পন্থের প্রশংসা করার পরে রোহিত-বাহিনীর প্রত্যেকের উদ্দেশে রিচার্ডস বলেন, ‘‘খুব ভাল খেলেছ তোমরা। তা হলে? পরবর্তী পর্বের জন্য তৈরি?’’ যোগ করেন, ‘‘এত শক্তিশালী একটি দলকে আমি আর কী বলতে পারি? বিশ্বকাপে এত দিন ধরে সত্যি খুব ভাল খেলেছ তোমরা। যদি মেরুন জার্সির ছেলেরা শেষ পর্যন্ত ফাইনালে না ওঠে, আমার সমর্থন তোমাদের সঙ্গেই থাকবে। খুশি? ক্যারিবিয়ান হিসেবে দেখতে খুবই ভাল লাগে আমাদের মাঠে অন্য দেশের দল এত ভাল খেলছে।’’
কথা শেষ করার পরেই সূর্যকু্মার যাদবের গলায় পদক তুলে দেন কিংবদন্তি। সূর্যকুমার বলেন, ‘‘ফিল্ডিংয়ে ভাল করার জন্য সকলে মুখিয়ে থাকে। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ থেকে এই প্রথা শুরু হয়েছে। যা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’ যোগ করেন, ‘‘ভিভ স্যরের হাত থেকে পদক পাব, আশা করিনি। এই মুহূর্তকে ব্যাখ্যা করার কোনও ভাষা নেই।’’