আজহার মেহমুদ। ছবি: এক্স (টুইটার)।
গত বারের রানার্স। এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দু’টি ম্যাচ হেরে বিপাকে পাকিস্তান। পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও বাবর আজ়মেরা রয়েছেন স্বাভাবিক। নিউ ইয়র্কের রেস্তরাঁ বা শপিং মলে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। সে সব নিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতে মেজাজ হারালেন দলের সহকারী কোচ আজহার মেহমুদ।
মঙ্গলবার কানাডার বিরুদ্ধে মরণবাঁচন ম্যাচ পাকিস্তানের। তার আগে সাংবাদিক বৈঠকে মেহমুদকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘প্রতিযোগিতায় এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের পরেও ক্রিকেটারেরা কী ভাবে নানা জায়গায় ঘুরছেন?’’ প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারান পাকিস্তানের সহকারী কোচ। মেহমুদ বলেন, ‘‘এক মিনিট। খেলার দিন আপনি কাউকে ঘুরতে দেখেছেন? ক্রিকেট খেলা হয় মাঠে। তার বাইরেও জীবন আছে। আপনিও তো সেখানে ছিলেন। আমি নিজে দেখেছি।’’ সেই সাংবাদিককে মেহমুদ বোঝাতে চান, তাঁর সংস্থাও তাঁকে আমেরিকায় ঘুরতে পাঠায়নি।
মেজাজ হারালেও দ্রুত নিজেকে সামলে নেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘‘জানি, আমাদের দেশের মানুষ খুব আবেগপ্রবণ। আমি বলতে চাইছি, একটা বা দুটো হারে জীবন শেষ হয়ে যায় না। একটা ম্যাচ হারার পর হোটেলে ফিরে সবাই নিজেদের ঘরে থাকে। চার দেওয়ালের মধ্যে সময় কাটানোর চেষ্টা করে। মানসিক বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। যেমন ভাবছেন, আমাদের ক্রিকেটারেরা মোটেও তেমন নয়। আমি ইংল্যান্ড দলের সঙ্গেও কাজ করেছি। এমন পরিস্থিতিতে ওরা হয়তো একটু খেতে যায়। এটুকুই ওদের বিনোদন।’’
এর পরেই প্রশ্ন ওঠে পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা কি নির্দিষ্ট খাদ্য তালিকা মেনে চলেন? মেহমুদ বলেছেন, ‘‘আমাকে বলুন, কে মেনে চলে না? এখন সব দলই এটা মেনে চলে। এটা এমন কিছু ব্যাপার নয়। হারলে এই প্রশ্নগুলো তোলা হয়। মনে হয় কিছুই বোধহয় মেনে চলা হয় না। আবার জিতলে এই প্রশ্নগুলো ওঠে না। মেনে না চললেও গুরুত্ব দেওয়া হয় না।’’
মেহমুদ জানিয়েছেন, আমেরিকা এবং ভারতের কাছে হারের হতাশা যেমন আছে, তেমন ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসও আছে। কানাডা এবং আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ দু’ম্যাচ বড় ব্যবধানে জেতা ছাড়া কিছু ভাবছেন না তাঁরা। সুপার এইটে ওঠার অঙ্ক নিয়ে ভেবে চাপ বৃদ্ধি করতে চাইছেন না।