রশিদ খান। —ফাইল চিত্র।
৮.৫ ওভারে ম্যাচ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতে কুইন্টনের উইকেট হারালেও তা খুব একটা বড় ধাক্কা ছিল না তাদের জন্য। সহজেই ম্যাচ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। পৌঁছে গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে।
শুরুতেই আউট কুইন্টন ডি’কক। ফজলহক ফারুকির বলে বোল্ড হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার। ৫ রান করে আউট ডি’কক।
আফগানিস্তানের ইনিংস শেষ ৫৬ রানে। গোটা ইনিংসে মাত্র ৭১টি বল খেললেন রশিদ খানেরা। আফগানিস্তানের এটাই সব থেকে কম রান। সেমিফাইনালে উঠলেও তা জেতা কঠিন হবে রশিদদের। ম্যাচের রাশ দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে।
৮ বলে ৮ রান করে আউট রশিদ খান। আফগান অধিনায়কও সাজঘরে ফিরে গেলেন নোখিয়ের বলে বোল্ড হলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের সামলাতেই পারলেন না রশিদেরা।
১০ ওভারে আফগানিস্তান মাত্র ৫০ রান তুলেছে। তার থেকেও চিন্তার ৮ উইকেট হারানো। রশিদ খান এখনও ক্রিজ়ে রয়েছেন।
এক ওভারে ২ উইকেট শামসির। এ বার আউট নুর। ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে আফগানিস্তান।
এ বার উইকেট নিলেন স্পিনার শামসি। এলবিডব্লিউ হলেন করিম। ৮ রান করে আউট তিনি।
নোখিয়ে তাঁর প্রথম ওভার করতে এসেই উইকেট তুলে নিলেন। আউট ওমরজাই। ১০ রান করে ক্যাচ দিলেন স্টাবসের হাতে।
পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। তুলেছে মাত্র ২৮ রান। আউট হয়ে সাজঘরে গুরবাজ়, জাদরান, গুলবদিন, নবি এবং খারোটে। ক্রিজ়ে রয়েছেন ওমারজাই এবং করিম। তিনটি উইকেট নিয়েছেন জানসেন। ২ উইকেট রাবাডার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টস জিতেছিল আফগানিস্তান। অধিনায়ক রশিদ খান ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানেন দলের শক্তি স্পিন বোলিং। সেই কারণে পরে বল করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রশিদের দলের ব্যাটিং নড়বড়ে। টস হেরে বল করার সুযোগ পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারের যে ভাবে আফগান ব্যাটিংয়ের উপর চাপ তৈরি করেছে, তাতে রশিদের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
প্রথম ওভারেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন গুরবাজ়। জানসেনের বলে ক্যাচ তুলে দেন আফগান ওপেনার। তিন নম্বরে নামা গুলবদিন নইবও বেশি ক্ষণ ক্রিজ়ে থাকতে পারেননি। বলের সুইং বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান তিনি। দু'টি উইকেটই নেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি পেসার জানসেন।
এর পরেই রাবাডার এক ২ উইকেট। প্রথমে ইব্রাহিম জাদরান, সেই ওভারেই মহম্মদ নবিকে বোল্ড করেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার। ২০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান বেশ চাপে।