বিশ্বকাপের সঙ্গে বিরাট কোহলি (বাঁ দিকে) এবং রোহিত শর্মা। ছবি: এক্স।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলকে নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছে চার্টার্ড বিমান। সেই বিমানকে কেন্দ্র করে নতুন জটিলতা তৈরি হল। বিমানসংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াকে চিঠি পাঠিয়েছে বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ। তাদের দাবি, আমেরিকায় যাত্রীদের অসহায় অবস্থায় ফেলে রেখে ভারতীয় দলকে আনতে ওই বিমানটি বার্বাডোজ়ে পাঠানো হয়েছিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের কোনও দেশ থেকেই ভারতে সরাসরি বিমান পরিষেবা নেই এয়ার ইন্ডিয়ার। তাই সেখান থেকে বিমানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। যে বিমানটি রোহিত, কোহলিদের বার্বাডোজ় থেকে ফিরিয়ে আনছে, সেটির নেয়ার্ক থেকে দিল্লি আসার কথা ছিল। নেয়ার্ক হল আমেরিকার নিউ জার্সির একটি শহর। বিমানটিকে দিল্লির বদলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বার্বাডোজ়ে। এই বিমানে যে যাত্রীদের ভারতের আসার কথা ছিল, তাঁদের সংস্থার অন্য বিমানে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। ‘এআইসি২৪ডব্লিউসি’কে খালি করে নেয়ার্ক থেকে বার্বাডোজ়ে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় এয়ার ইন্ডিয়ার অতিরিক্ত কোনও বিমান না থাকায় নির্দিষ্ট উড়ানসূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছে।
ডিজিসিএ-র দাবি, নেয়ার্ক থেকে যে যাত্রীদের দিল্লি ফেরার কথা ছিল, তাঁদের অসহায় অবস্থায় রেখে ওই বিমানটি বার্বাডোজ়ে পাঠানো হয়েছে। বিমানসংস্থাটির দাবি, যাত্রীদের আগে থেকেই বিমান বাতিলের বিষয়ে জানানো হয়েছিল। তবে কয়েক জন তা জানতে পারেননি। তাঁরা নির্ধারিত সময়ে বিমানবন্দরে চলে এসেছিলেন। তাঁদের নেয়ার্ক থেকে সড়কে নিউ ইয়র্কে পৌঁছে এয়ার ইন্ডিয়ার অন্য একটি বিমানে উঠিয়ে দেওয়া হয়। এই অব্যবস্থাতেই খুশি নয় ডিজিসিএ। যাত্রীদের সঙ্গে কেন এই কাজ করা হয়েছে, তার কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে।
যদিও তার আগেই বিমানের আসল যাত্রীদের অসুবিধার জন্য তাঁদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ‘‘যাত্রীদের ধন্যবাদ। নিজেদের অসুবিধা হলেও বিমান খালি করে দিতে তাঁরা আপত্তি করেননি। বিশ্বজয়ীদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে আমাদের সঙ্গে সকলে হাসিমুখে সহযোগিতা করেছেন। তাঁরাও চেয়েছেন, আমাদের বিশ্বজয়ী ক্রিকেটারেরা যাতে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে পারেন।’’