আয়ারল্যান্ডকে হারানোর উচ্ছ্বাস কানাডার ক্রিকেটারের। ছবি: আইসিসি।
ভারতের পর কানাডার কাছেও হারল আয়ারল্যান্ড। খাতায় কলমে এগিয়ে থাকা আইরিশদের ব্যাটিং বিপর্যের খেসারত দিতে হল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নবাগত কানাডার কাছে। প্রথমে ব্যাট করে কানাডা করে ৭ উইকেটে ১৩৭ রান। জবাবে আয়ারল্যান্ড করল ৭ উইকেটে ১২৫। ১২ রানে জয় পেল কানাডা।
নিউ ইয়র্কের ২২ গজে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি কানাডার ব্যাটারেরা। পাঁচ নম্বরে নামা নিকোলাস কির্টন ৩৫ বলে ৪৯ রান এবং ছয় নম্বরে নামা শ্রেয়স মুভা ৩৬ বলে ৩৭ রানের ইনিংস না খেললে লড়াই করার মতো রানও তুলতে পারত না কানাডা। দ্রুত ফিরে যান দুই ওপেনার অ্যারন জনসন (১৩ বলে ১৪) এবং নবনীত ধালিওয়াল (১০ বলে ৬)। রান পেলেন না পরের দুই ব্যাটারও। পারগত সিংহ তিন নম্বরে নেমে করলেন ১৪ বলে ১৮। চার নম্বরে নেমে দিলপ্রীত বাজওয়ার অবদান ৯ বলে ৭। কির্টন এবং শ্রেয়স পঞ্চম উইকেটের জুটিতে ৭৫ রান না তুললে পরিস্থিতি আরও খারাপ হত কানাডার। কির্টন ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা মারেন। শ্রেয়সের ব্যাট থেকে আসে ৩টি চার।
আয়ারল্যান্ডের সফলতম বোলার ব্যারি ম্যাককার্থি ২৪ রানে ২ উইকেট নিলেন। ৩২ রানে ২ উইকেট ক্রেগ ইয়ংয়ের। ১০ রানে ১ উইকেট গ্যারেথ ডেলানির। ২৩ রানে ১ উইকেট নিলেন মার্ক অ্যাডেইর।
জয়ের জন্য ১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নিউ ইয়র্কের ২২ গজে নেমে বিপর্যয়ের মুখে পড়ল আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। ৫৯ রানেই ৬ উইকেট হারায় তারা। প্রথম সারির ব্যাটারেরা পর পর আউট হয়ে যাওয়ায় প্রবল চাপে পড়ে যায় আইরিশেরা। অ্যান্ডি বলবির্নি (১৯ বলে ১৭), অধিনায়ক পল স্টার্লিং ১৭ বলে ৯), লোর্কান টাকার (১৫ বলে ১০), হ্যারি টেক্টর (৫ বলে ৭), কার্টিস ক্যাম্ফারেরা (৭ বলে ৪) কেউই দলের ইনিংসকে ভরসা দিতে পারলেন না। ডেলানিও ব্যর্থ হলেন। শেষে কিছুটা লড়াই করলেন ছয় নম্বরে নামা জর্জ ডকরেল এবং আট নম্বরে নামা অ্যাডেইর। সপ্তম উইকেটের জুটিতে আগ্রাসী ব্যাটিং করেও দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না তাঁরা। অ্যাডেইর করলেন ২৪ বলে ৩৪ রান। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৩টি চার এবং একটি ছক্কা। ডকরেল অপরাজিত থাকলেন ২৩ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে। মারলেন ২টি চার এবং ১টি ছক্কা। শেষে তাঁর সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন ম্যাকার্থি (৩ বলে ২)।
কানাডার সফলতম বোলার জেরেমি গর্ডন ১৬ রানে ২ উইকেট নিলেন। ডিলন হেলিগার ১৮ রানে ২ উইকেট নিলেন। ২২ রানে ১ উইকেট সাদ বিন জ়াফরের। ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট জুনেইদ সিদ্দিকির।