T20 World Cup 2024

বিমান ৪ ঘণ্টা দেরিতে, প্রায় না ঘুমিয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নামতে হয়েছিল রশিদদের

বৃহস্পতিবার সকালে সেমিফাইনাল খেলতে নামেন রশিদ খানেরা। সেই ম্যাচ হয় ত্রিনিদাদে। কিন্তু সেখানে আসার সময় ৪ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয় আফগানিস্তানের। বিমান দেরিতে ছাড়ায় পর্যাপ্ত ঘুম হয়নি রশিদদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ১০:১৩
Share:

রশিদ খান। ছবি: পিটিআই।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের ম্যাচ ছিল সেন্ট ভিনসেন্টে। ভারতীয় সময়ে মঙ্গলবার সকালে সেই ম্যাচ ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সেমিফাইনাল খেলতে নামেন রশিদ খানেরা। সেই ম্যাচ হয় ত্রিনিদাদে। কিন্তু সেখানে আসার সময় ৪ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয় আফগানিস্তানের। বিমান দেরিতে ছাড়ায় পর্যাপ্ত ঘুম হয়নি রশিদদের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারের সেটাও একটা কারণ হতে পারে।

Advertisement

রশিদ যদিও সেটাকে কারণ বা অজুহাত হিসাবে দেখাতে রাজি নন। টসের সময় তিনি বলেছিলেন, “বিমান চার ঘণ্টা দেরি করেছিল। আমরা এক ঘণ্টা ঘুমিয়েছি। কিন্তু সেটা ব্যাপার নয়। আমরা খেলার জন্য তৈরি। নিজেদের সেরাটাই দেব।”

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রশিদ। সেটাই হয়তো ভুল হল তাঁর। মাত্র ৫৬ রানে শেষ হয়ে গেল আফগানিস্তানের ইনিংস। ম্যাচ শেষে রশিদকে অনেক বেশি চিন্তিত লাগল দলের ব্যাটিং নিয়ে। তিনি বলেন, “আমাদের মিডল অর্ডারকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আরও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে হবে। ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই দলে। এ বারের প্রতিযোগিতায় বেশ কিছু ম্যাচ আমরা ভাল খেলেছি। তবে আরও ভাল খেলতে হবে। বিশেষ করে ব্যাটিং বিভাগকে আরও উন্নতি করতে হবে।”

Advertisement

টস জিতে রশিদের ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এডেন মার্করামও টস জিতলে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতেন। সে কথা টসের সময় জানিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে সেই মার্করাম বলেন, “টস হারাটাই আমাদের জন্য সৌভাগ্যের কারণ। টস জিতলে আমরা ব্যাট করতাম। এখানে ব্যাট করা কঠিন ছিল। আমরা ভাগ্যবান যে, জুটি গড়তে পেরেছি। ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল।”

এর আগে কখনও বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করাম বলেন, “আগে কখনও ফাইনাল খেলিনি। তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমাদের গোটা দল তৈরি ফাইনালে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য।”

গোটা প্রতিযোগিতায় ভাল খেলে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া আফগান অধিনায়ক রশিদ বলেন, “আমরা যে কোনও দলকে হারাতে পারি। এই আত্মবিশ্বাসটা তৈরি হয়েছে। পরের বার বিশ্বকাপ খেলতে নামার সময় এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই নামব। চাপের মধ্যে কী ভাবে নিজেকে একটা দল সামলাচ্ছে, তাতেই বদলে যায় ম্যাচের ফল।”

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯ জুন হবে সেই ম্যাচ। বৃহস্পতিবার রাতে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে খেলতে হবে প্রোটিয়াদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement