আত্মবিশ্বাসী: বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল করতে চান সুতীর্থা। ফাইল চিত্র
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে প্রথম ভারতীয় মহিলা টেবল টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে মনিকা বাত্রার সঙ্গে প্রথম ম্যাচ জিতে নজির তৈরি করেছেন তিনি। বঙ্গললনা সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় মনে করছেন, এই অলিম্পিক্স তাঁর এগিয়ে যাওয়ার খিদে আরও বাড়িয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতেই কলকাতা ফিরেছেন। শনিবার টেবল টেনিসের এক অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হন সুতীর্থা ও ভারতীয় দলের কোচ সৌম্যদীপ রায়। সেখানেই সুতীর্থা বললেন, ‘‘এটাই প্রথম অলিম্পিক্স ছিল। সেখানে প্রথম ম্যাচেই বিশ্ব ক্রমপর্যায়ে অনেক এগিয়ে থাকা সুইডেনের লিন্ডা বার্গস্ট্রমের বিরুদ্ধে ১-৩ পিছিয়ে থেকে ৪-৩ জয় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও এগিয়ে যেতে হবে আমাকে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘গেমস ভিলেজে আমার আর্দশ ক্রীড়াবিদ পি ভি সিন্ধু ও টেনিস খেলোয়াড় নোভাক জোকোভিচের সঙ্গে আলাপ হল। ওঁদের থেকে খেলার বাইরেও সফল ভাবে এগিয়ে যাওয়ার অনেক মূল্যবান পরামর্শ পেয়েছি। যা আগামী দিনে কাজে লাগবে।’’
দিন কয়েক পরেই সুতীর্থা কলকাতা ছাড়বেন স্পেনে ক্লাব প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। তার পরে আগামী মাসের শেষে কাতারে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। তার পরে নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। সুতীর্থার কথায়, ‘‘আপাতত এই দুই প্রতিযোগিতাকে পাখির চোখ করছি। ওখানে ভাল ফল করতেই হবে। তার পরে শুরু হবে এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি।’’
তাঁর প্রশিক্ষক সৌম্যদীপ রায়ের কথায়, ‘‘অলিম্পিক্সে প্রথম ম্যাচ জেতায় আসন্ন ক্রমপর্যায়ে অনেকটাই এগোবে সুতীর্থা। চলতি বছরের মধ্যে বিশ্বের প্রথম তিরিশের মধ্যে ওকে নিয়ে যাওয়াই আমাদের পরীক্ষা।’’
এ দিনই দক্ষিণ কলকাতায় সৌম্যদীপ ও তাঁর অলিম্পিয়ান স্ত্রী পৌলমী ঘটকের অ্যাকাডেমির সঙ্গে যুক্ত হল ধানুকা ধনসেরি গোষ্ঠী। সৌম্যদীপ বলছেন, ‘‘রাজারহাটে আবাসিক অ্যাকাডেমি কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু করছি। বাংলা থেকে আরও চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় তৈরি করতেই এই প্রয়াস।’’