সাগর রানা হত্যাকাণ্ডে সুশীলকে গ্রেফতার করার পর গত ২৩ মে প্রথম বার আদালতে তোলা হয়। ফাইল চিত্র
তদন্তের স্বার্থে সুশীল কুমারকে আরও ৩ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন জানাল দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। বুধবার দিল্লি আদালতে এই আর্জি জানানো হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় মামলা দায়ের করে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রমাণ লোপাট করার মারাত্মক অভিযোগ আনল পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে গত ১০ দিন ধরে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন জোড়া পদকজয়ী কুস্তিগীর সুশীল, তাঁর সহযোগী অজয় কুমার শেরাওয়াত ও এই খুনের সঙ্গে যুক্ত আরও সাত জন। ২৩ বছরের সাগর রানা হত্যাকাণ্ডে দুজনকে গ্রেফতার করার পর গত ২৩ মে প্রথম বার আদালতে তোলা হয়। সে বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিন পুলিশি হেফাজতে ছিলেন দুই অভিযুক্ত। এরপর গত ২৯ মে সুশীল ও শেরাওয়াতকে আরও চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি আদালত। কিন্তু দিল্লি পুলিশের দাবি সুশীল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করেছেন। তাছাড়া পুলিশকে তদন্তে যথাযথ সাহায্যও করছেন না। তাই মামলা পোক্ত করার জন্য সুশীলের বিরুদ্ধে ২০১ ধারায় মামলা সাজিয়ে আদালতের কাছে আরও ৩ দিন সময় চাইল দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা।
ভারতের সংবিধান অনুসারে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পর ১৪ দিন পর্যন্ত পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সাগর রানা হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সুশীল তদন্তে সাহায্য করছেন না। বরং পুলিশের নতুন দাবি গত ৪ মে ছত্রসাল কান্ডের পর থেকে পালিয়ে থাকার সময় সিম ছাড়া ফোন ব্যবহার করতেন সুশীল। এই ফোনের মাধ্যমে পরিবার, বন্ধু ও সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন তিনি। সুশীলের বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ হল তিনি তাঁর দুটো মোবাইল ফোন, খুনের সময় ব্যবহার করা জামাকাপড় নষ্ট করে ফেলেছেন। এই বিষয়ে আরও বিশদে তদন্ত করার জন্যই আদালতের কাছে আরও সময় চাইল দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা।