নজরে: আই লিগে প্রথম চারে থাকতে চায় মোহনবাগান। ফাইল চিত্র
মিনার্ভা পঞ্জাব সোমবার জিতে যাওয়ায় পড়শি ক্লাবের মতো মোহনবাগানেও হাতাশা। খেতাবের ক্ষীণ আশাও শেষ।
খেতাব নিয়ে অবশ্য ভাবতে নারাজ মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। আজ মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে তাঁর গলায় সুপার কাপের কথা। ‘‘খেতাবের কথা আমরা ভাবছি না। লিগ টিবলের প্রথম চারের মধ্যে থেকে সুপার কাপে ভাল করাই আমাদের লক্ষ্য।’’ গোয়ার তিলক ময়দানে খেলতে নামার আগের দিন লুইস নর্টন দ্য মাতোসের দল সম্পর্কে শঙ্করলালের মূল্যায়ন, ‘‘ওরা লিগ শুরুর দিকে পাল্টা আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলছিল। এখন ওরা অনেক আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছে। বোঝাই যাচ্ছে ওরা ক্রমশ শক্তি বাড়িয়েছে।’’
গত তিন বছর আই লিগে মোহনবাগান কখনও জিতেছে, কখনও রানার্স হয়েছে। ঘরের মাঠে শিল্টন পাল-কিংশুক দেবনাথদের হারাতে পারত না কোনও ক্লাবই। এ বার উল্টোটাই ঘটছে। ঘরের মাঠে পয়েন্ট নষ্ট করে বাইরের মাঠে এখনও অপরাজিত রয়েছেন দিপান্দা ডিকারা। ছয়টি ম্যাচের তিনটিতে জয়, তিনটিতে ড্র।
ফেডারেশনের বিদেশিহীন অনূর্ধ্ব ১৮ ইন্ডিয়ান অ্যারোজকে ঘরের মাঠে হারাতে পারেন মোহনবাগান। অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ দলের বেশিরভাগ ফুটবলারের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে কিংগসলে ওবুনেমেনেরা ম্যাচ ড্র করেছিলেন। মাতোসের দশ জনের দলকে বিরতির পর অনেকক্ষণ পেয়েও পয়েন্ট নষ্ট করেছিলেন ডিকারা। এ বার কী হবে? শঙ্করলাল বললেন, ‘‘হতাশ না হয়ে আমাদের টিম ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তিন পয়েন্টের জন্য খেলব আমরা। চেষ্টা করছি লিগ টেবলে যত উপরে থাকা যায়।’’
মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে নিজের দল সম্পর্কে অবশ্য মাতোস উচ্ছ্বসিত। ‘‘আমি কখনও শুনিনি কোনও দেশের যুব দল পেশাদার লিগে খেলে ১৫ পয়েন্ট পেয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন পুরো আই লিগের পর্যালোচনা করে দেখেছি, ১৬. ৯ বছর বয়সের গড় নিয়ে ছেলেরা কী ভাবে ভাল বিদেশি সমৃদ্ধ ক্লাবের বিরুদ্ধে সমান তালে পাল্লা দিয়েছে। আমরা যেটা চেয়েছিলাম সেটা হয়েছে। টিমের খেলায় আমি খুশি।’’ বলে দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দেশের কোচ।
মঙ্গলবারে: ইন্ডিয়ান অ্যারোজ বনাম মোহনবাগান (গোয়া ৫-৩০)