সুনীল ছেত্রীকে থামাতে ব্যর্থ পুণের ডিফেন্ডাররা। ছবি: আইএসএল
অপ্রতিরোধ্য সুনীল ছেত্রী। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল)-এ অভিষেকের বছরেই খেতাবের সামনে বেঙ্গালুরু এফসি (বিএফসি)।
আইএসএল সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে এফসি পুণে সিটি-র বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে কোনও ঝুঁকি নেননি বেঙ্গালুরু কোচ আলবের্তো রোকা। গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয়েছিল ম্যাচ। পুণের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে রোকা বলেছিলেন, ‘‘অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল করতে পারলে ভাল হতো। তবে গোলশূন্য ড্র-ও খারাপ ফল নয়। এ বার ঘরের মাঠে আমরা জয়ের জন্য ঝাঁপাব। কারণ, আমাদের সেই যোগ্যতা রয়েছে।’’ রবিবার ঘরের মাঠ শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলেন সুনীল-রা। উদান্ত সিংহের পাস থেকে জাতীয় দলের অধিনায়ক প্রথম গোল করেন ১৫ মিনিটে। ৬৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় বিএফসি। পানেনকা কিকে গোল করে চমকে দেন সুনীল। ৮৫ মিনিটে পুণের জোনাথন লুক্কা গোল করে ব্যবধান কমান। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। ৯০ মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন সুনীল। প্রায় পাঁচ বছর পরে বিএফসি-র হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। রবিবার বেঙ্গালুরু বনাম পুণে দ্বৈরথ দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ ও ভারতীয় দলের বোলার যশপ্রীত বুমরা। সুনীলের দুরন্ত হ্যাটট্রিক দেখে তাঁরাও মুগ্ধ। ম্যাচের পরে উচ্ছ্বসিত সুনীলের টুইট, ‘এই দিনটার জন্যই আমরা প্রত্যেকে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমাদের আরও একটা যুদ্ধ জয় করতে হবে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আমরা ফের পরিশ্রম করব এবং জয়ের জন্য ঝাঁপাব।’
ভারতীয় ফুটবলে বিএফসি-র উত্থান চমকে দেওয়ার মতো। মাত্র পাঁচ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় এই ক্লাব। অভিষেকের বছরেই আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হন সুনীল-রা। পরের বছর ফেডারেশন কাপ জেতে বিএফসি। ২০১৫-’১৬ মরসুমে দ্বিতীয়বার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। ভারতের প্রথম ক্লাব হিসেবে এএফসি কাপের ফাইনালেও ওঠেন সুনীল-রা। যদিও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন তাঁদের পূরণ হয়নি। গত মরসুমে দ্বিতীয়বার ফেডারেশন কাপ জেতে বিএফসি। যোগ দেয় আইএসএলে। এ বার তাঁদের সামনে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি।
বেঙ্গালুরু কোচ অবশ্য এই মুহূর্তে আইএসএল নয়, এএফসি কাপ নিয়ে ভাবতে চান। বুধবার ঘরের মাঠে বিএফসি-র প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের আবাহনী ক্রীড়াচক্র। তবে আইএসএল ফাইনালের জন্য এএফসি কাপের ম্যাচে প্রথম একাদশের বেশ কয়েক জন ফুটবলারকে বিশ্রাম দেওয়ার ভাবনা রয়েছে রোকার।