প্রস্তুতি: এশিয়াডে নেই। ভারতীয় দলের লক্ষ্য এশিয়ান কাপই। ফাইল চিত্র
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের প্রস্তাব সত্ত্বেও সুনীল ছেত্রীদের জাকার্তা এশিয়ান গেমসে খেলার ছাড়পত্র দিল না ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা (আইওএ)। ২০১৯ সালের এশিয়ান কাপকেই এখন পাখির চোখ করেছে ভারতীয় দল। তার প্রস্তুতি হিসেবে অক্টোবরে চিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে ভারতীয় দল।
আন্তঃমহাদেশীয় কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই জাকার্তা এশিয়াডে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় দলের কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। প্রস্তুতি হিসেবে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার পরিকল্পনাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আইওএ ভারতীয় দলকে এশিয়াডে খেলার ছাড়পত্র না দেওয়ায় যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এর পরেই এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি হিসেবে চিন সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। ৮-১৬ অক্টোবরের মধ্যে একটি ম্যাচ খেলার কথা চিনে। ফেডারেশন চাইছে ১৩ অক্টোবর ম্যাচটি করতে।
ভারতের সঙ্গে চিনের শেষ ম্যাচ হয়েছিল একুশ বছর আগে কোচিতে। ১৯৯৭-এর নেহরু কাপে। মোট ১৭টা ম্যাচ হয়েছে এ পর্যন্ত। প্রতিটিই ভারতের মাটিতে। সেই অর্থে সিনিয়র ফুটবল দল এই প্রথম চিনের মাঠে কোনও ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত চিনের বিরুদ্ধে যে ১৭ ম্যাচ হয়েছে তার মধ্যে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি ভারত। ১২টি ম্যাচ জিতেছে চিন। বাকিগুলো ড্র হয়েছে। ফেডারেশন সচিব কুশল দাশ চিনের এই সফরকে তাই ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে শুক্রবার বলেছেন, ‘‘চিন এবং ভারত এখন ফুটবলের সেরা বাজার। চিনের মতো ভারতেও দ্রুত ফুটবলের বিস্তার ঘটছে। এক মাস ধরে আলোচনার পর এই ম্যাচ করতে সফল হয়েছি আমরা। চিন ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ। প্রায় কুড়ি বছর পর দু’দেশের মধ্যে ফের ফুটবল মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য।’’
সাম্প্রতিক কালে চিনে অনূর্ধ্ব ১৬ ভারতীয় দল একটি আমন্ত্রণী টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়েছিল। ভারতের সিনিয়র দল ২০১৬ এর জুন থেকে ২০১৭-র নভেম্বর পর্যন্ত টানা বারোটি ম্যাচ অপরাজিত ছিল। চিনের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়ে জাতীয় কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন তাই দারুণ খুশি। বলে দিলেন, ‘‘এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির জন্য এর চেয়ে ভাল সুযোগ আর হয় না। আমার আশা ছেলেরা এই ম্যাচ খেলে উপকৃত হবে।’’