সুলতান আহমেদ। ছবি: সুলতান আহমেদের টুইটার সৌজন্যে।
প্রায় এক মাসের ব্যবধানে দুই প্রভাবশালী এবং জনপ্রিয় ফুটবল প্রশাসককে হারাল কলকাতা ময়দান। গত ২৮ জুলাই চিরকালের জন্য কলকাতা ময়দান থেকে বিদায় নিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের বহু ইতিহাসের সাক্ষী স্বপন বল। স্বপন বলকে হারানোর ক্ষত মায়দানে যখন দগদগে, তখনই বিদায় নিলেন আর এক প্রশাসক সুলতান আহমেদ। আজ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুপুর ১২টায় মারা যান তিনি। ২০০২ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সচিব ছিলেন সুলতান। তার পর ২০০৯ থেকে আমৃত্যু তিনিই ছিলেন মহামেডানের প্রেসিডেন্ট। রাজনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকায় শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রচুর সময় দিতেন ফুটবল এবং ময়দানকে। সুলতান আহমেদের প্রয়াণে শোকের ছায়া কলকাতা ফুটবলে।
আরও পড়ুন: আইপিএল-এর মিডিয়া স্বত্ব এ বার স্টার ইন্ডিয়ার
আরও পড়ুন: হৃদরোগে মৃত্যু তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের
সুব্রত ভট্টাচার্য (প্রাক্তন ফুটবলার এবং কোচ):
ময়দানের অন্যতম ভাল মানুষ ছিলেন সুলতান আহমেদ। প্রচণ্ড নম্র এবং ভদ্র মানুষ ছিলেন। আমাদের খুবই স্নেহ করতেন সুলতান দা। তাঁর প্রয়াণে আমি শোকাহত। সুলতান আহমেদের না থাকায় পরবর্তী সময় প্রশাসনিক দিক থেকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে মহামেডানকে।
দেবাশিস দত্ত (মোহনবাগান অর্থ সচিব):
ময়দানের স্তম্ভ ছিলেন সুলতান আহমেদ। মহামেডানকে নতুন দিক দেখিয়েছিলেন সুলতান দা। ওঁর চলে যাওয়াটা শুধু মহামেডান স্পোর্টিংয়ের জন্যই নয়, কলকাতা ময়দানের জন্যও বড় ক্ষতি।
শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত (ইস্টবেঙ্গল সহ-সচিব):
সুলতান আহমেদের অকাল প্রয়াণে আমি শোকাহত। একদম অন্য ধরনের লোক ছিলেন সুলতান। বিনয়ী, ভদ্র, নম্র। এই গুণগুলো ছিল ওঁর চরিত্রের মূল বৈশিষ্ট। ফুটবলের উন্নতির জন্য সব সময়ই সচেষ্ট থাকতেন। এই ধরনের লোক কলকাতা ময়দানে কম এসেছেন। সুলতান চলে যাওয়ায় বড় ক্ষতি হয়ে গেল কলকাতা ময়দানের।
ইস্তিয়াক আহমেদ (মহামেডান সহ-সচিব):
এক জন অভিভাবককে হারালাম আমরা। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। রাজনৈতিক এবং সামাজিক ভাবেও একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
নবাব ভট্টাচার্য (পাঠচক্র কর্মকর্তা):
ময়দানের অভিভাবক ছিলেন সুলতান আহমেদ। যে কোনও ব্যস্ততার মাঝে ময়দানের মানুষকে অগ্রাধিকার দিতেন। যে কোনও সমস্যা নিমেষে মিটিয়ে দিতেন। সুলতানদার অকাল প্রয়াণে আমি শোকাহত।
উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় (আইএফএ সচিব):
ব্যক্তিগত ভাবে আমার সঙ্গে ঘনিষ্ট ছিল সুলতান। এটা এখনও অবিশাস্য। মহামেডান স্পোর্টিংয়ের জন্য এটা বড় ক্ষতি।
সৈয়দ রহিম নবি (ফুটবলার):
কলকাতা ময়দানে আমায় প্রতিষ্ঠাই দিয়েছেন সুলতানদা। কলকাতা ময়দানে সুলতানদার হাত ধরেই বড় ক্লাবে হাতেখড়ি হয়েছিল আমার। ব্যক্তিগত ভাবে আমার অভিভাবক ছিলেন সুলতান দা। খুব ভালবাসতেন আমাদের। ফুটবল থেকে এক জন ভাল মানুষ চলে গেলেন।
মেহতাব হোসেন (ফুটবলার):
আমি বাকরুদ্ধ। আমার বলার কিছু ভাষা নেই। আপনার থেকেই প্রথম আমি খবরটা জানলাম। সুলতানদা নেই, এটা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। এই ভাবে সুলতানদা চলে যাবেন কখনও ভাবতেও পারিনি।
দেবব্রত রায় (ফুটবলার):
ফুটবলের উন্নতিতে অনেক কাজ করেছেন সুলতান আহমেদ। এই রকম দক্ষ ফুটবল প্রশাসকের চলে যাওয়া নিঃসন্দেহে বাংলা ফুটবলের জন্য একটা বড় ক্ষতি। ওঁর জায়গা পূরণ করতে সময় লাগবে।
রানা ঘরামি (ফুটবলার):
এই ঘটনায় আমি শোকস্তব্ধ। খবরটা জানার পর থেকেই খুব খারাপ লাগছে। শুধু ফুটবলার হিসেবেই নয়, ফুটবলের বাইরেও ওঁর সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল আমার। ওঁর চলে যাওয়া বাংলা ফুটবলের জন্য খারাপ হল। উনি যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।