উল্লাস: সুব্রত কাপে জয়ী দলের সদস্যরা। —নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫৮তম জেলা সুব্রত কাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হল শনিবার। ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রামে ছেলেদের অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে জয়ী হয়েছে মেদিনীপুরের খশলা ইন্দুমতী হাইস্কুল। মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগে সেরা হয়েছে খ়ড়্গপুরের গৈতা হাইস্কুল। ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া হাইস্কুল সেরা হয়েছে ছেলেদের অনূর্ধব ১৭ বিভাগে। আগামী ৭ জুলাই বাঁকুড়ার বড়জোড়াতে ছেলেদের অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগের আন্তঃজেলা পর্যায়ের খেলায় যোগ দেবে মানিকপাড়া।
শনিবার সকালে ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রামে খড়িকা নেতাজি সাধারণ পাঠাগার ও ক্লাবের মাঠে প্রথমে ছেলেদের অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগের ফাইনালে মুখোমুখি হয় খড়্গপুরের মশাগ্রাম শিবানন্দ হাইস্কুল ও মেদিনীপুরের খশলা ইন্দুমতী হাইস্কুল। খশলার রাহুল হাঁসদা ও রাহুল সিংহ ইন্দুমতী হাইস্কুলের হয়ে পরপর দু’টি গোল করে।
মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগের ফাইনালে শালবনি নিচু মঞ্জরী হাইস্কুল মুখোমুখি হয় খড়গপুরের গৈতা হাইস্কুলের। খেলায় প্রথম থেকেই বলের রেখেছিল গৈতা স্কুলের মেয়েরা। প্রথমে গোল করে দলকে এগিয়ে দেয় মৌমিতা দ্বারা। এরপর সুচরিতা পাত্র ও কৃষ্ণা সিংহ একটি করে গোল করে। পরে মৌমিতা আরও একটি গোল করে। ৪-০ গোলে জিতে যায় গৈতা হাইস্কুল। জেলায় মেয়েদের সেরা ফুটবল দলের শিরোপা ছিনিয়ে নেয় তারা।
শেষে ছেলেদের অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া হাইস্কুল ও ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুল। জঙ্গলমহলের ছেলেদের সাথে জোরদার লড়াই করেও মানিকপাড়ার স্কুলের কাছে ২-০ গোলে হেরে যায় ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুল। মানিকপাড়ার তনু সিংহ ও মার্শাল হেমব্রম একটি করে গোল করে।
খেলার মাঠে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি সমায় মাণ্ডি, জেলা শরীরশিক্ষা ও যুব কল্যাণ আধিকারিক অভিজিৎ রুদ্র, নয়াগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত-সহ বিশিষ্টরা। তিনটি বিভাগে জেলার সেরা মেয়ে ও ছেলেদের হাতে ট্রফি তুলে দেন তাঁরা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্কুল ক্রীড়া সংসদের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ দাস বলেন, ‘‘জেলার ছেলে মেয়েদের পারফরম্যান্স আশাপ্রদ। আশা করি, আন্তঃজেলা পর্যায়ে ভাল খেলে ছেলেমেয়েরা জেলার মান ধরে রাখবে।’’ জেলাস্তরের খেলায় যোগ দেওয়া ছেলে-মেয়েদের থাকার ব্যবস্থা করেছিল নয়াগ্রাম থানা বালিকা বিদ্যাপীঠ। সোমনাথবাবু বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষ এত ছেলে-মেয়েদের থাকার সুন্দর ব্যবস্থা করেছিলেন, এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’’