কাদামাঠে সুব্রত কাপ কেন, ক্ষোভ

জলে কাদায় বেহাল কোচবিহারের এমজেএন স্টেডিয়ামের ময়দান। সেইখানেই আয়োজিত হল সুব্রত কাপ ফুটবলের (অনূর্ধ্ব ১৭) চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা। এই ঘটনা ঘিরেই কোচবিহারে ক্রীড়ামহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৬ ০২:২৯
Share:

এমন মাঠেই সুব্রত কাপের খেলা ঘিরে ক্ষোভ কোচবিহারে। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

জলে কাদায় বেহাল কোচবিহারের এমজেএন স্টেডিয়ামের ময়দান। সেইখানেই আয়োজিত হল সুব্রত কাপ ফুটবলের (অনূর্ধ্ব ১৭) চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা। এই ঘটনা ঘিরেই কোচবিহারে ক্রীড়ামহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকাশ্যেই সরব হয়েছেন যোগদানকারী দলের কর্তা, খেলোয়াড় থেকে ক্রীড়াপ্রেমী সকলেই।

Advertisement

জেলা সদরে একাধিক ময়দান থাকলেও কেন বর্ষার মরসুমে বেহাল হয়ে যাওয়া ওই স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হল সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধ স্কুল কর্তাদের অনেকে। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ওই স্টেডিয়াম দেখভালের দায়িত্বে থাকা কোচবিহার জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের কর্তারা। সংসদের ব্যবস্থাপনাতেই খেলার আয়োজন হয়। সংসদের কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের দাবি, “কোচবিহার শহরে সংসদের আওতাধীন অন্য কোনও মাঠ নেই। বিকল্প মাঠ কিছু দেখা হয়েছিল। সেখানেও এক সমস্যা রয়েছে।’’ এই ময়দান সংস্কারের জন্য ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরে প্রস্তাব পাঠান রয়েছে বলে জানান তিনি। বরাদ্দের আশ্বাস মিলেছে, তা পেলেই কাজ শুরু হবে বলে জানান পার্থপ্রতিমবাবু।

এ দিন জেলার ৫টি মহকুমার সেরা দলগুলিকে নিয়ে চূড়ান্ত পর্বের খেলার আসর বসে। মাথাভাঙা হাইস্কুল, মেখলিগঞ্জ নবীন চন্দ্র হাইস্কুল, দিনহাটার কিসামত আদাবাড়ি হাইস্কুল, তুফানগঞ্জের সিঙিমারি হাইস্কুল ও কোচবিহার সদরের কলাবাগান হাইস্কুল দল যোগ দেয়। কিসামত আদাবাড়ি হাইস্কুলের শিক্ষক প্রদীপ বর্মন বলেন, “ময়দানে ছেলেরা বল নিয়ে এগোতে পারছিল না। দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল।” কলাবাগান হাইস্কুলের শিক্ষক সমীর সিংহ এবং মেখলিগঞ্জ নবীন চন্দ্র হাইস্কুলের শিক্ষক কৃষ্ণ বর্মন দু’জনেই জানান, ওই মাঠে খেলা যায় না, বিকল্প মাঠে খেলা হলে ভাল হত।

Advertisement

পাঁচ দশক আগে তৈরি ওই স্টেডিয়াম খেলাধূলা চর্চার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হলেও দেখভালের অভাবে তা বেহাল হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে জল জমছে, কাদা হচ্ছে গোটা চত্বরে। নিকাশির ব্যবস্থা নেই। প্রতিযোগিতার অনূর্ধ্ব ১৪ দলের খেলাও শুক্রবার ওই মাঠেই হয়। ক্ষুব্ধ খেলোয়াড়দের একজন বলে, ‘‘কাদায় পিছলে পড়ার অবস্থা হচ্ছিল। জলে ভিজে গিয়ে বুটও খুলে আসছিল।’’

এ দিনের ফাইনালে কোচবিহার সদরের কলাবাগান হাইস্কুল দিনহাটার কিসামত আদাবাড়ি হাইস্কুলকে ১-০ গোলে পরাজিত করে। খেলার প্রথমার্ধে একমাত্র গোলটি করে অয়ন দাস। যদিও চ্যাম্পিয়ন দলের বিরুদ্ধে এক খেলোয়াড়কে বয়স ভাঁড়িয়ে মাঠে নামানোর অভিযোগ উঠেছে। উদ্যোক্তারা জানান, ওই বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরেই পরবর্তী পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন দল হিসাবে খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হবে ওই স্কুল দলকে। যদিও কলাবাগান হাইস্কুল দলের ম্যানেজার উৎপল রক্ষিত বলেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। তদন্ত হলে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement