নিজেও হাসলেন, মোহনবাগান সমর্থকদের মুখেও হাসি এনে দিলেন শুভ।
মোহনবাগান —১ পঞ্জাব এফসি — ১
(শুভ) (ডিকা)
মোহনবাগানকে বাঁচালেন শ্যামনগরের শুভ ঘোষ। সবুজ-মেরুন-এর প্রাক্তন তারকা দিপান্দা দিকার গোলে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল পঞ্জাব এফসি। টাচলাইনের ধারে দাঁড়ানো মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনার মুখে তখন চিন্তার ভাঁজ। ঠিক তখনই পরিবর্ত হিসেবে নামা শুভর মাস্টারক্লাস। পঞ্জাব এফসি-র বিদেশি ডিফেন্ডারের পা থেকে ছোঁ মেরে বল কেড়ে নিখুঁত প্লেসে বাগানের স্পেনীয় কোচের মুখে এনে দিলেন স্বস্তির হাসি। মঙ্গলবারের ম্যাচ ড্র হওয়ায় আই লিগের শীর্ষেই থেকে গেল মোহনবাগান।
মোহনবাগানের নতুন সেনেগালিজ স্ট্রাইকার পাপা সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করছেন। ডেড বল স্পেশালিস্ট হোসেবা বেইতিয়ার ফ্রি কিক আছড়ে পড়ল পঞ্জাবের ওয়ালে। সেই জায়গায় তরুণ শুভ শেষ মুহূর্তে ঝলসে উঠলেন। ভিন রাজ্যের মাটিতে প্রমাণ করে দিলেন ঠিকঠাক সুযোগ পেলে বাঙালি ছেলেরাও নায়ক হয়ে উঠতে পারেন। ভারতের ফুটবলে এখন বিদেশিদেরই দাপাদাপি। বাঙালি ফুটবলার হারিয়ে যাচ্ছে। শুভ ঘোষ সে দিক থেকে ব্যতিক্রম। কলকাতা লিগ, আই লিগ-এ যা সুযোগ পেয়েছেন, সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন। এ দিনও তাই করলেন এমন একটা মাঠে, যেখানে বল নিয়ন্ত্রণ করা রীতিমতো কঠিন ছিল।
আরও পড়ুন: ওয়াংখেড়েতে মিডল অর্ডারে ধ্বস, পাঁচ উইকেট খুইয়ে চাপে ভারত
গত রাতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছিল পঞ্জাবে। খেলা হবে কি না, তা নিয়েই দেখা দিয়েছিল সন্দেহ। এ দিন বল গড়ালেও মাঠের অবস্থা ভাল ছিল না। বল নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছিল। ২০ মিনিটে পঞ্জাব এফসি-কে এগিয়ে দেন ডিকা। বছর দুয়েক আগে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এক ডার্বি ম্যাচে শরীর ছুড়ে ভলিতে গোল করেছিলেন ক্যামেরুনের এই স্ট্রাইকার। ওরকম ভলিতে ডিকাকে গোল করতে দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। আজ, মঙ্গলবার অনেকটা একই ভাবে গোল করে সবুজ-মেরুনকে স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন বাগানের বাতিল ডিকা। গোল সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল পঞ্জাব। সমতা ফেরানোর সুযোগ আরও আগেই পেয়েছিল মোহনবাগান। সেই যাত্রায় সবুজ-মেরুন-এর নতুন সেনেগালিজ স্ট্রাইকার সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। বাগানের বার আগলানো শঙ্কর রায়ের জন্য পঞ্জাব এফসি গোলসংখ্যা আর বাড়াতে পারেনি।
রবিবার ডার্বি ম্যাচ। তার আগে পিছিয়ে পড়ে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে কলকাতায় ফেরা ভালই বলতে হবে। রবিবারের চিরআবেগের ম্যাচের জন্য অনেকটাই সময় পেয়ে যাচ্ছেন শুভ-বেইতিয়ারা। ইস্টবেঙ্গলকে অবশ্য খেলতে হবে শক্তিশালী গোকুলমের সঙ্গে।