খালিদ অনুপস্থিত, সুভাষের নজর ফিটনেসের উপরে

রিজার্ভ বেঞ্চের পাশে বড় একটা সাউন্ড বক্স। সেখান থেকে ‘বিপ’ ‘বিপ’ করে আওয়াজ হচ্ছে। সেই আওয়াজ যত দ্রুত হচ্ছে, ফুটবলারদের দৌড়ের গতি ততই বাড়ছে। একটা সময়ের পর রণে ভঙ্গ দিচ্ছেন ফুটবলাররা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৮ ০৪:০৮
Share:

প্রস্তুতি: কোচ খালিদ জামিলের অনুপস্থিতিতেই টিডি সুভাষ ভৌমিকের প্রশিক্ষণে চলছে ইস্টবেঙ্গলের সুপার কাপের অনুশীলন। মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল মাঠে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

এদুয়ার্দো ফেরেইরা, ইউসা কাতসুমি-রা ১৫ মিটারের চুনের দাগ দেওয়া নির্দিষ্ট ট্র্যাক ধরে দৌড়চ্ছেন। প্রত্যেকের হাতে বিশেষ ধরনের হৃৎপিন্ডের গতি মাপার ঘড়ি।

Advertisement

রিজার্ভ বেঞ্চের পাশে বড় একটা সাউন্ড বক্স। সেখান থেকে ‘বিপ’ ‘বিপ’ করে আওয়াজ হচ্ছে। সেই আওয়াজ যত দ্রুত হচ্ছে, ফুটবলারদের দৌড়ের গতি ততই বাড়ছে। একটা সময়ের পর রণে ভঙ্গ দিচ্ছেন ফুটবলাররা। তখনই দেখে নেওয়া হচ্ছে সময়ের সঙ্গে ফুটবলারের গতির পরিমাপ। শারীরিক সক্ষমতার অবস্থা।

প্রাক-মরসুম প্রস্তুতিতে ‘ইয়ো ইয়ো’ পরীক্ষা (ফুটবলারদের শারীরিক সক্ষমতা মাপার পরীক্ষা) ময়দানে চালু হয়েছে অনেক দিন। কিন্তু মরসুমের শেষ দিকে এবং সুপার কাপের মতো নক আউট টুর্নামেন্টের আগে হঠাৎ-ই তা ফিরিয়ে এনে সুভাষ ভৌমিকের মন্তব্য, ‘‘মরসুমের শুরুতে এটা করা হয়নি। চাপের মুখে শেষ দিকে টিম গোল খেয়ে যাচ্ছে। গতিময় ফুটবলারের খোঁজ করছি। যারা শেষ দিকে চাপের মুখে লড়ে যাবে। সে জন্যই দেখে নিতে চাইছি ফুটবলারদের কার কী অবস্থা। যাতে কাউকে টিম থেকে বাদ দেওয়ার আগে দেখিয়ে দিতে পারি কেন বাদ দেওয়া হল।’’

Advertisement

সুপার কাপের প্রস্তুতির প্রথম দিন। অনুশীলন ডেকেছিলেন কোচ খালিদ জামিল। কিন্তু তিনি নিজেই আসেননি। কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর যাঁকে দেখা যেত ক্লাবে সারাদিন পড়ে থাকতে, তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে অনুপস্থিত। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে সুভাষ অবশ্য নিজের মেজাজে। খালিদ-ঘনিষ্ঠ তিন বিদেশি আল আমনা, ইউসা কাতসুমি আর এদুয়ার্দো ফেরিরা-কে এ দিন সকালেই সভা করে ড্রেসিংরুম-অধিনায়ক বানিয়ে দিয়ে মোক্ষম চাল দিয়েছেন সুভাষ। আর ‘বিপ টেস্ট’-এর পর বহু দিনের অব্যবহৃত ‘জাকুজি’-তে বরফঠান্ডা জলে শরীর ডোবাতে বাধ্য করেছেন ডুডু ওমাগবেমি, অর্ণব মণ্ডল-দের। সেখানে চেয়ার নিয়ে ঠায় বসে থেকে যেমন বকাঝকা করেছেন সুভাষ, তেমনই বিচক্ষণ ম্যানেজারের মতো ঠাট্টাও করেছেন। যা থেকে স্পষ্ট দলের পরিচালনার রাশ দ্রুত নিজের হাতে নিতে চাইছেন ইস্টবেঙ্গলকে দু’বারের জাতীয় লিগ দেওয়া কোচ। মুখে অবশ্য সুভাষ বলছেন, ‘‘খালিদের জন্য আমরা সবাই অপেক্ষা করছিলাম। ও আসেনি। কিছু বলেওনি। আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।’’ আর খালিদের আচরণে বিরক্ত ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের মন্তব্য, ‘‘খালিদ কেন আসেনি তা কাউকে জানায়নি। আমরা জানতেও চাইব না। খালিদ না আসায় কোনও কিছু তো আটকে থাকেনি। ওর জন্য দরজা খোলা। যে দিন আসতে চাইবে অনুশীলনে আসবে। আমরা কিছু বলব না।’’

আজ বুধবার যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে অনুশীলন ইস্টবেঙ্গলের। সুভাষ-ই সকালে অনুশীলন ডেকেছেন। খালিদ কি আসবেন? রাত পর্যন্ত তা জানেন না কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement