ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে স্টিভ স্মিথের ডিআরএস নিয়ে পরামর্শ চাওয়াকে কেন্দ্র করে নতুন প্রশ্ন উঠেছে বুধবার। ড্রেসিংরুমের বারান্দা থেকে কার পরামর্শ নিতে চাইছিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক?
নজরে অস্ট্রেলিয়া দলের ভিডিও অ্যানালিস্ট। প্রশ্ন উঠেছে, তিনিই কি অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কম্পিউটারের মনিটরে আউটের রিপ্লে দেখার ব্যবস্থা করেছিলেন? এটাকে প্রযুক্তির অপব্যবহার বলা হবে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছে ভারতীয় শিবির।
বুধবার ভারতীয় ক্রিকেটে নামী কয়েক জন ভিডিও অ্যানালিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার। এরা কেউ আইপিএল দলের সঙ্গে যুক্ত, কেউ বা অতীতে জাতীয় দলের সঙ্গে থেকেছেন। স্পর্শকাতর বিষয় বলে এঁরা কেউ প্রকাশ্যে বিবৃতি দিতে চান না। তবে নাম প্রকাশ না করে তাঁরা জানিয়েছেন, ড্রেসিংরুমের বারান্দায় বসে কম্পিউটারের মনিটরে তাঁরা গোটা ম্যাচের ভিডিও রেকর্ডিং করার সুবিধে পান। প্রত্যেক দলই সেটা পায়। কোনও একটা নির্দিষ্ট বল দ্রুত রিপ্লে করে দেখার সুবিধেও থাকে এখনকার উন্নত সফ্টওয়্যারের দৌলতে। আর সেটা করার ব্যাপারে সব চেয়ে পারদর্শী হতে পারেন ভিডিও অ্যানালিস্ট-ই। বেঙ্গালুরুতে স্মিথ যে ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে ছিলেন, দশ সেকেন্ডের মধ্যে তাঁকে অস্ট্রেলীয় ড্রেসিংরুম বলে দিতেই পারত, তিনি আউট ছিলেন কি না।
অর্থাৎ, খুব না জেনেশুনে স্মিথ এমন সুযোগ নিতে গিয়েছিলেন সম্ভবত বলা যাবে না। ভারতীয় বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া স্মিথ-কাণ্ডের ভিডিও বার বার দেখলে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, পরিকল্পনামাফিকই স্মিথ ড্রেসিংরুমের সাহায্য নিতে গিয়েছিলেন। যে কোনও প্রতিযোগিতার প্রথা অনুসারে ম্যাচ সংক্রান্ত লাইভ ভিডিও কম্পিউটার মনিটরে পায় দু’টো দল। কখনও কেউ ভাবেনি যে, প্রযুক্তির সাহায্য কেউ ডিআরএসের ক্ষেত্রে নিতে পারে। অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হিসেবে প্রয়াত বব উলমার তাঁর অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়েকে দিয়ে হেডফোন ব্যবহার করিয়েছিলেন। উলমার ড্রেসিংরুমে বসে নির্দেশ পাঠাচ্ছিলেন হ্যান্সিকে। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল ক্রিকেটে।
স্মিথের ঘটনাও ক্রিকেটকে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে নতুন কোনও নিয়মের দিকে ঠেলে দেবে কি না, সেটাই দেখার। আপাতত, অবশ্য দুই দলের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক ঠিক হয় কি না, সেটাই দেখার।