দু’বছর আগে বল-বিকৃতির জন্য সতর্ক করেছিলেন ম্যাচ রেফারি

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানালেন দু’বছর আগেই তিনি ম্যাচ রেফারি থাকাকালীন অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে শেফিল্ড শিল্ড-এর ম্যাচে বল বিকৃতির জন্য সতর্ক করা হয়েছিল স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৮ ০৩:৫৩
Share:

নজরে: ওয়ার্নার-স্মিথকে নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে চর্চা চলছেই। ফাইল চিত্র

ভারতের বিরুদ্ধে বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জন্য উপমহাদেশে এত দিন চিহ্নিত ছিলেন তিনি। সেই প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার ড্যারেল হার্পার এ বার জেগে উঠলেন স্টিভ স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নার-দের বল বিকৃতি কাণ্ডের আবহে।

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানালেন দু’বছর আগেই তিনি ম্যাচ রেফারি থাকাকালীন অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে শেফিল্ড শিল্ড-এর ম্যাচে বল বিকৃতির জন্য সতর্ক করা হয়েছিল স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে।

ঠিক কী হয়েছিল?

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমকে হার্পার জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের নভেম্বরে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে খেলতে নেমেছিল নিউ সাউথ ওয়েলস বনাম ভিক্টোরিয়া। সেই ম্যাচেই ম্যাচ রেফারি ছিলেন তিনি। প্রচারমাধ্যমের কাছে হার্পার অভিযোগ করেছেন, ‘‘ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই ডেভিড ওয়ার্নার বল হাতে পেলেই তা সরাসরি উইকেটরক্ষক পিটার নেভিল-কে না ছুঁড়ে মাটিতে জোরে জোরে ড্রপ করিয়ে উইকেটরক্ষকের কাছে পাঠাচ্ছিল। সব দেখার পরে দুই আম্পায়ার স্টিভ স্মিথ-কে অনুরোধ করেন তা বন্ধ করে পরিচ্ছন্ন ক্রিকেট খেলার জন্য। কিন্তু স্টিভ স্মিথ আম্পায়ারদের সেই আবেদনে সাড়া দেননি।’’

হার্পার আরও বলেছেন, ‘‘বার বার আম্পায়ারদের অনুরোধের পরে স্টিভ স্মিথের প্রতিক্রিয়াও ঠিক ছিল না। বাধ্য হয়ে দ্বিতীয় দিন খেলার শুরুতে আম্পায়ারদের পাশে দাঁড়িয়ে নিউ সাউথ ওয়েলস কোচ ট্রেন্ট জনসন-কে ডেকে পাঠাই। তাঁকে বলি, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চায় না দেশের অধিনায়কের নামের উপর বল বিকৃতির কালিমা লেগে যাক। তাই প্রথম দিনের মতো বল ছোড়ার পদ্ধতি যেন না নেওয়া হয়। এর পরেই ওই ভাবে বল ছোড়া বন্ধ করে দেয় নিউ সাউথ ওয়েলস।’’

ক্রিকেট মাঠে বরাবরই কড়া ভাবমূর্তির জন্য পরিচিত এই অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন, ‘‘ম্যাচে হেরে গিয়েছিল নিউ সাউথ ওয়েলস। তার পরেই সিডনি ক্রিকেট মাঠের পিচ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল স্টিভ স্মিথ। এমনকি শেফিল্ড শিল্ড-এর ম্যাচ নিয়ে নিজের অখুশি মনোভাবও ব্যক্ত করে ও। যা অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের কাছ থেকে কাম্য নয়। গোটা ঘটনা ই-মেল করে জানিয়েছিলাম ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ার নির্বাচন কমিটির ম্যানেজার সাইমন টফেল-কে।’’ হার্পার জানিয়েছেন, এই ঘটনার সময়েই বল-বিকৃতির অভিযোগে নজর রাখা হচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি-র উপর।

ড্যারেল হার্পার-এর এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে তোলপাড় শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মহলে। যদিও এ সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ওই ম্যাচে খেলা দু’দলের কোনও ক্রিকেটারের কাছে থেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement