ম্যাচ প্রতি অঙ্ক কষে এগোক কপেল

এ বারের টুর্নামেন্টে প্রথম খেলতে নেমে শুরুটা জমকালো হয়নি ওদের। প্রথম তিন ম্যাচে ড্র। তার পরে চতুর্থ ম্যাচে জয়। আর ষষ্ঠ ম্যাচ পর্যন্ত গোল হজম করেছিল মোটে একটি।

Advertisement

ভাইচুং ভুটিয়া

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৫:০৭
Share:

ভাইচুং ভুটিয়া।—ফাইল চিত্র।

এ বারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ধীর ও ধারাবাহিক ভাবে এগিয়ে চলেছে জামশেদপুর এফসি। টিমটার খেলায় জৌলুস সে ভাবে নেই। কিন্তু মাঠে নেমে বেশ কার্যকরী ফুটবল খেলছে জামশেদপুরের দলটা। এ ব্যাপারে পূর্ণ কৃতিত্ব দিতে হবে দলের কোচ স্টিভ কপেল এবং তাঁর খেলোয়াড়দের।

Advertisement

এ বারের টুর্নামেন্টে প্রথম খেলতে নেমে শুরুটা জমকালো হয়নি ওদের। প্রথম তিন ম্যাচে ড্র। তার পরে চতুর্থ ম্যাচে জয়। আর ষষ্ঠ ম্যাচ পর্যন্ত গোল হজম করেছিল মোটে একটি।

জামশেদপুর মোটেও আক্রমণ নির্ভর দল নয়। কিন্তু দলটা বেশ সংগঠিত। টিম স্পিরিটও দারুণ। সঙ্গে কপেলের মতো বড় কোচের উপস্থিতি এবং ওঁর স্ট্র্যাটেজি, ট্যাকটিক্স-এর নিখুঁত প্রয়োগ দলটাকে উপরের দিকে তুলে এনেছে।

Advertisement

কপেল-এর দল কিন্তু মাঠে নেমে কোনও তিকিতাকা ফুটবল খেলছে না। বরং ওরা কার্যকরী ফুটবলটা খেলে ঠিক ফলটা পেয়ে যাচ্ছে। আর সবাই জানে ফুটবলে ভাল ফলটাই শেষ কথা। দিনের শেষে ওই ব্যাপারটাই গুরুত্ব পায়। বিশ্ব ফুটবলেও ইদানীং দেখা যাবে স্কোরলাইনে গোলের ব্যবধানটা খুব বেশি থাকে না। আর চিত্তাকর্ষক ফুটবল খেললেই যে আপনি ম্যাচের শেষে মনের মতো ফল পাবেন, সেটাও অনেক সময় হয় না।

গত বছর কপেল ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিল কেরল ব্লাস্টার্স-কে। ওর হাতে যে ফুটবলার থাকে তাদের নিয়েই জয়ের রেসিপি বানিয়ে ফেলতে ও খুবই দক্ষ কোচ।

ভারতীয় ফুটবলের পক্ষে এটা খুবই ভাল বিজ্ঞাপন হবে, যদি প্রথম বছর খেলতে নেমেই জামশেদপুর এফসি সেমিফাইনালে যায়। যদিও সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ এখনও কিছু খেলা বাকি রয়েছে। এই মুহূর্তে ম্যাচ প্রতি অঙ্ক কষে এগিয়ে যেতে হবে ওদের।

ভারতীয় ফুটবলে জামশেদপুরের অবদান অনেকটাই। ফুটবলপ্রেমী মানুষের সংখ্যা ওখানে প্রচুর। তার উপর টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি গত কয়েক দশক ধরে দেশের সেরা ফুটবলারদের উপহার দিয়ে এসেছে। এ বার সেই টাটা-র মতো সংস্থার ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের মূলস্রোতে আসাটাও একটা বড় সিদ্ধান্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement