ফরাসি ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে চিচিপাস। ছবি: রয়টার্স
ফরাসি ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেন পঞ্চম বাছাই স্টেফানোস চিচিপাস। রবিবার প্রথম রাউন্ডে তিনি হারালেন চেক প্রজাতন্ত্রের জিরি ভেসেলিকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছেন বেলারুশের এরিনা সাবালেঙ্কা। তিনি হারিয়েছেন ইউক্রেনের মার্তা কোস্তিয়ুককে। এই ম্যাচে দুই খেলোয়াড়ের হাত না মেলানো নিয়ে বিতর্ক হয়েছে।
চিচিপাসকে জেতার জন্যে লড়তে হয়েছে তিন ঘণ্টারও বেশি। শেষ পর্যন্ত তিনি ভেসেলিকে হারান ৭-৫, ৬-৩, ৪-৬, ৭-৬ গেমে। ২০২১-এ ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন চিচিপাস। কিন্তু বিশ্বের ৪৪৫ নম্বরে থাকা খেলোয়াড়ের সামনে পরিশ্রম করতে হল তাঁকে। চোট কাটিয়ে দীর্ঘ দিন পরে ফিরে একটু অস্বস্তিতে লাগল তাঁকে। চতুর্থ সেটে চারটি সেট পয়েন্ট বাঁচালেন। না হলে ম্যাচ পঞ্চম সেটে গড়াত।
ম্যাচের পর চিচিপাস বলেন, “নিজেকেই নিজে বলেছিলাম, কোনও ভাবেই ম্যাচটা পঞ্চম সেটে গড়াতে দেওয়া চলবে না। আমার সামনে কঠিন বাধা হিসাবে দাঁড়িয়েছিল জিরি। কঠিন ম্যাচ জিতলাম। তবে দিনের শেষে মুখে হাসি ফেরায় ভাল লাগছে। এই জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল বলের কাছে পৌঁছতে পারছি না। থমকে যাচ্ছি। নিজেকে বুঝিয়ে ম্যাচে ফেরালাম।”
দ্বিতীয় সার্ভিস গেমে চিচিপাসকে ব্রেক করেন ভেসেলি। প্রথম সেটে ৩-৫ পিছিয়ে পড়ে ৭-৫ জেতেন। পর পর দু’বার ব্রেক করেন ভেসেলিকে। প্রথম দিকে ভেসেলির টপ স্পিনের বিরুদ্ধে কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলেন। কিন্তু ক্রস কোর্ট ফোরহ্যান্ডের সাহায্যে ম্যাচ নিজেক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন তিনি।
এ দিকে, সাবালেঙ্কা ৬-৩, ৬-২ হারালেন কোস্তিয়ুককে। কিন্তু ইউক্রেনের খেলোয়াড়কে গোটা ম্যাচে সমর্থকদের টিটকিরি শুনতে হয়েছে। ম্যাচের পর সাবালেঙ্কার সঙ্গে হাত মেলাতে চাননি কোস্তিয়ুক। আসলে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণে সঙ্গে ছিল বেলারুশও। রাজনৈতিক কারণেই হয়তো হাত মেলাননি কোস্তিয়ুক, এমনটা অনেকেই মনে করছেন। হাত না মেলানোয় আরও বেশি সমর্থকের টিটকিরি খান তিনি।