Sports News

নোভাক কাঁটা সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে জয়ীর মুকুট ওয়ারিঙ্কার

গ্র্যান্ড স্ল্যামের জেতার কোনও লক্ষ্য ছিল না সামনে। শুধুমাত্র নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টাই করে গিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জিতে আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের দর্শকদের সামনে সহজ স্বীকারোক্তি স্ট্যান ওয়ারিঙ্কার। ফাইনালে নোভাক জকোভিচকে হারিয়ে নিজের কেরিয়ারের তিন নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন স্ট্যান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:০৭
Share:

ট্রফিতে চুম্বন। ছবি: এএফপি।

গ্র্যান্ড স্ল্যামের জেতার কোনও লক্ষ্য ছিল না সামনে। শুধুমাত্র নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টাই করে গিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জিতে আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের দর্শকদের সামনে সহজ স্বীকারোক্তি স্ট্যান ওয়ারিঙ্কার। ফাইনালে নোভাক জকোভিচকে হারিয়ে নিজের কেরিয়ারের তিন নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন স্ট্যান। চার সেটের লড়াই গড়িয়েছে চার ঘণ্টায়। ৬-৭(১-৭), ৬-৪, ৭-৫, ৬-৩।

Advertisement

১৯৭০ সালে ৩৫ বছরের কেন রোজওয়ালের পর সবচেয়ে বেশি বয়সী চ্যাম্পিয়নের রেকর্ড করেছেন ৩১ বছরের স্ট্যান। কিন্তু, চ্যাম্পিয়ন যে হবেন তেমন আশাভরসা জাগিয়ে টুর্নামেন্টের শুরুটা করেননি। বরং তৃতীয় রাউন্ডেই ড্যান ইভান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ পয়েন্টের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেই ম্যাচে মোট ৫১টা আনফোর্সড এরর প্রায় ছিটকে দিয়েছিল তাঁকে। গোটা টুর্নামেন্টেও এমন কিছু আহামরি খেলেননি। কখনও চ্যাম্পিয়নের মতো কখনও বা অবাছাই শিক্ষানবিশের মতো ওঠাপড়া করছে তাঁর স্ট্রোক প্লে। কিন্তু, ফাইনালে সে সবের চিহ্নমাত্র ছিল না। যদিও তাঁর প্রথম সার্ভেই ব্রেকপয়েন্ট ছিনিয়ে এগিয়ে যান জকোভিচ। শেষমেশ সেই সেট জিতেও নেন। কিন্তু, পরের সেটগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়েছেন ওয়ারিঙ্কা। পয়েন্ট হারানোর সামান্যতম ঝুঁকি থাকলেও সিঙ্গল হ্যান্ডেড ব্যকহ্যান্ডের ডাউন দ্য লাইন শট বাঁচিয়ে দিয়েছে তাঁকে।

নিজেকে এ ভাবেই তাতিয়েছেন ওয়ারিঙ্কা। ছবি: ইউএসএ টুডে স্পোর্টস।

Advertisement

তবে ফাইনাল ছুঁয়ে থাকল বিতর্কের গন্ধে। শেষ কবে গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে নোভাককে এ রকম আবেগপ্রবণ দেখা গিয়েছে তা মনে করা যাচ্ছে না। দ্বিতীয় সেট খোয়ানোর পর নিজের চেয়ারে বসার আগে সজোরে আছড়ে র‌্যাকেট ভেঙেছেন। বেস লাইনের বাইরে গিয়ে চিৎকার করে কথা বলে নিজেকে তাতিয়েছেন। আবার কখনও বা দর্শকাসনের বসা কোচ বরিস বেকারের দিকে তাকিয়ে পয়েন্ট হারানোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

চোট নিয়ে চিন্তায় জকোভিচ। ছবি: এএফপি।

ম্যাচে এক বার ছন্দপতনও ঘটল। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে ওয়ারিঙ্কারও। চতুর্থ সেটে ১-৩ পিছিয়ে থাকার সময় বুড়ো আঙুলের চোট সারাতে টাইমআউট নেন জকোভিচ। নিজের সার্ভিস গেমের আগে কেন জকোভিচ তা করলেন চেয়ার আম্পায়ারের কাছে তা নিয়ে নালিশ জানান ওয়ারিঙ্কা। চোট নিয়ে কোর্টের এ-পার থেকে চেঁচিয়ে জোকারের সাফাই, “সরি, স্ট্যান! আর সহ্য করতে পারছি না।” ম্যাচের শেষে অবশ্য প্রতিপক্ষকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন জোকার। চূড়ান্ত মুহূর্তে তাঁর সাহসী খেলার তারিফ করেছেন। আর যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে নিজের প্রথম ট্রফি নিয়ে স্ট্যান বলেন, “টুর্নামেন্টের শুরুতে জেতার লক্ষ্য না থাকলেও আজ কোর্টে নেমে প্রথম থেকেই ম্যাচ জিততে চেয়েছিলাম।”

আরও পড়ুন

বছরটা কের্বারের, যুগ কত দিন থাকে দেখার

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement