নায়ক: শ্রীলঙ্কাকে টেস্ট জিতিয়ে উল্লাস আকিলা ধনঞ্জয়ের। ছবি: এএফপি।
টেস্ট সিরিজের শুরুটা দুরন্ত হলেও শেষটা তেমন হল না বাংলাদেশের। দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন দিনেই ২১৫ রানে হেরে সিরিজও হারলেন মোমিনুল হকরা।
প্রথম টেস্টে মোমিনুলের দু’ইনিংসে দুরন্ত সেঞ্চুরির পরও টেস্ট ড্র হয়েছিল। দ্বিতীয় টেস্টে সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে নেমেও কাজের কাজ করতে পারল না বাংলাদেশ। অভিষেক টেস্টে নেমে শ্রীলঙ্কার আকিলা ধনঞ্জয় একাই দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই শেষ করে দেন ২৪ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে। দু’ইনিংস মিলিয়ে তিনি নেন আট উইকেট। অভিষেক টেস্টে এটাই কোনও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারের সেরা পারফরম্যান্স। পাশাপাশি রঙ্গনা হেরাথের ৪৯ রানে চার উইকেট বাংলাদেশের ইনিংস দ্রুত শেষ করতে বড় ভূমিকা নেয়।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা তুলেছিল ২২২ রান। জবাবে বাংলাদেশ শেষ হয়ে যায় মাত্র ১১০ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা এর পরে ২২৬ রান তোলে। ফলে বাংলাদেশকে জেতার জন্য করতে হত ৩৩৯ রান। এই বিশাল রানের চাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১২৩ রানেই। মোমিনুল হকই যা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর ৩৩ রানই দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া বলার মতো রান বলতে শুধু মুশফিকুর রহিমের ২৫।
দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার টেল এন্ডাররা যাও বা প্রতিরোধ দেখাতে পেরেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তাও পারেননি। যেটা চিন্তায় রাখতে পারে তাদের। দ্বিতীয় ইনিসে বাংলাদেশের মাত্র চার জন দু’অঙ্কের রান করতে পেরেছেন। তাও ৫১ বলের বেশি কোনও ব্যাটসম্যানই টিকতে পারেননি। একে জেতার জন্য বিরাট লক্ষ্য তাড়া করার চাপ। তার উপরে শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের সামলানোর চ্যালেঞ্জ সামলাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ফলে ৩০ ওভারও লাগেনি শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসে বিপক্ষের সব উইকেট তুলে নিতে।
ফলে ২০১৫-এর পরে ঘরের মাঠে প্রথম সিরিজ হারের মুখে পড়তে হল বাংলাদেশকে। চোটের জন্য শাকিব আল না হাসানের দলে না থাকাটা প্রবল ভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠল।
এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা পেয়ে গেল নতুন এক স্পিন তারকাকে। গোটা টেস্টে মাত্র ১৫ ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছেন ধনঞ্জয়। তাতেই কামাল দেখালেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে তো তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ৫-১-২৪-৫।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসেও তিনি ব্যাটসম্যানদের বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। মাত্র ১০ ওভার বল করে তুলে নেন তিন উইকেট। সুরঙ্গা লাকমলের সঙ্গে তিনি প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ শিকারি ছিলেন।