স্পেনের মাথায় হাত। হতাশ গোলকিপার দি’জিয়া। ছবি: এপি।
এক সপ্তাহও হয়নি বলেছিলেন, ব্রাজিল বিশ্বকাপের খারাপ ফর্মের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসেছে স্প্যানিশ ফুটবল। শুক্রবার ইউরো কোয়ালিফায়ারে ইউক্রেনকে ১-০ হারানোর পর তিনি আরও বলেছিলেন, সেস ফাব্রেগাসরা তাদের সেরা ফর্মের কাছাকাছি চলে এসেছেন। কিন্তু মঙ্গলবারই তাঁকে— স্পেনের কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কিকে ঢোঁক গিলতে হল। বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে কুখ্যাত ১-৫ হারের বদলা নেওয়া হল না। আমস্টারডামে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ফের ডাচদের বিরুদ্ধে ০-২ হারের লজ্জায় পড়তে হল তাঁর টিমকে।
তাও এমন ডাচ দলের বিরুদ্ধে যাদের প্রথম একাদশে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার এ দিন ছিলেন না (আর্জেন রবেন, রবিন ফান পার্সি, রন ফ্লার আর কেভিন স্ট্রুটম্যান)। তার উপর গত সপ্তাহে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৫১ ধাপ পিছিয়ে থাকা তুরস্কের বিরুদ্ধে কোনও রকমে ড্র করার চাপও ছিল গাস হিডিঙ্কের টিমের। কিংবদন্তি ডাচ ফুটবলার জোহান ক্রুয়েফ যে ম্যাচের পর বলেন, ‘নেদারল্যান্ডসের ফুটবল চোখে দেখা যাচ্ছে না।’ স্প্যানিশ সমর্থকরা তাই ভেবেছিলেন অক্টোবরের পর আন্তর্জাতিক টিমের হয়ে প্রথম নামা ফাব্রেগাসের নেতৃত্বে সহজেই জিতবে টিম। কিন্তু কোথায় কী! উল্টে প্রথমার্ধেই তিন মিনিটের ব্যবধানে স্তেফান দে ফ্রি আর ডেভি ক্লাসেনের গোলে ম্যাচের দখল নিয়ে নেয় ডাচরাই।
দেল বস্কিও প্রথমে সেরা টিম নামাননি। রাউল আলবিওল আর জেরার পিকে সেন্টার ব্যাকে ব্যর্থ। মিডফিল্ডে মারিও সুয়ারেজ, সান্তি কাজোলা আর অস্থায়ী ক্যাপ্টেন ফাব্রেগাসও নজর কাড়তে পারেননি। ফরোয়ার্ডে ইস্কো, জুয়ানমি আর পেদ্রোরও একই অবস্থা। ধীর গতির ডিফেন্স আর বৈচিত্রহীন আক্রমণে স্প্যানিশ আক্রমণ সামলাতে সমস্যা হয়নি ডাচদের। দেল বস্কির টিমের অবস্থা এতই করুণ যে নেদারল্যান্ডসের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের যতই সমালোচনা হোক স্পেনের সামনে তাদেরই বরং ভাল দল মনে হচ্ছিল। যেটা সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে স্প্যানিশ ফুটবল বিশেষজ্ঞদের। অথচ ম্যাচের পর দেল বস্কি উল্টে বলেন, ‘‘আমরা সেরা খেলা খেলেছি। গোলই যা আসেনি। যেটা আমাদের পারফরম্যান্স দেখার পর প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছে।’’
এ দিকে, স্পেনের পর একই দুর্দশা দেখা গেল আবার পর্তুগালেরও। তাদের থেকে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩১ ধাপ পিছিয়ে থাকা কেপ ভার্দের কাছে ০-২ হারল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোহীন পর্তুগিজ টিম। তবে রিয়াল মাদ্রিদ মহাতারকার প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির আর্জেন্তিনা যদিও বার্সেলোনার রাজপুত্রকে ছাড়াই ২-১ জিতল ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে। গোলদাতা সের্জিও আগেরো ও জেভিয়ার পাস্তোরে। ইতালির বিরুদ্ধে আবার এক গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ১-১ ড্র করল ইংল্যান্ড। সাউদাম্পটনের স্ট্রাইকার গ্রাজিয়ানো পেল্লের হেডে প্রথমে এগিয়ে যায় ইতালি। গোল শোধ করেন ইংল্যান্ডের অ্যান্ড্রোস টাউনসেন্ড।