সফল: ইউরোয় পেনাল্টি থেকে গোল করছেন র্যামোস। এএফপি
রোমানিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো ২০২০-র মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন প্রায় নিশ্চিত করল স্পেন। সের্খিয়ো র্যামোসরা পাঁচ ম্যাচের সব ক’টি জিতেছেন। বৃহস্পতিবার আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে ইটালিও দাপট দেখিয়ে ৩-১ জয় পেল। রবের্তো মানচিনির দল স্পেনের মতোই সব ম্যাচ জিতেছে।
বুখারেস্টে স্পেনের জোড়া গোলের একটি পেনাল্টি থেকে করেন র্যামোস (২৯ মিনিট)। পাকো আলকাসেরের দ্বিতীয় গোল দলগত মুভের ফল। গ্রুপ এফ-এ স্পেন এখন শীর্ষে (১৫ পয়েন্ট)। দু’নম্বরে থাকা সুইডেনের (১০ পয়েন্ট) থেকে এগিয়ে অনেকটাই। লুইস এনরিকে দায়িত্ব ছাড়ার পরে প্রথম ম্যাচ খেললেন র্যামোসরা। গ্রুপের অন্য দল সুইডেন ৪-০ হারিয়েছে ফারাও আইল্যান্ডসকে। র্যামোস বলেছেন, ‘‘দ্বিতীয় গোলের পরে মনঃসংযোগে খামতি দেখা গেল কেন জানি না। ওরা যে সুযোগে একটা গোল করল। এই ধরনের পরিস্থিতিতে কী করতে হবে তা কিন্তু আমাদের এ বার শিখতেই হবে।’’
ইয়েরেভানে ইটালি শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে। ১১ মিনিটে গোল করে আর্মেনিয়াকে এগিয়ে দেন আলেকজান্ডার কার্পেটিয়ান। যিনি পরে লাল কার্ড দেখেন। ম্যাচের ২৮ মিনিটে সমতা ফেরান তোরিনোর অধিনায়ক আন্দ্রিয়া বেরোত্তি। ইটালি খেলছে গ্রুপ জে-তে। তারাও পাঁচ ম্যাচ খেলে সব ক’টি জিতেছে (১৫ পয়েন্ট)। পিছিয়ে নেই ফিনল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচে ১২। বেরোত্তি পরে আরও একটি গোল করেন (৮০ মিনিট)। সঙ্গে লরেঞ্জো ফেলেগ্রিনি জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল পান (৭৭ মিনিট)। গ্রুপে দু’নম্বর ফিনল্যান্ডও গ্রিসের বিরুদ্ধে ১-০ জিতেছে।
মানচিনি বলেছেন, ‘‘একটা কঠিন ম্যাচ জেতার আনন্দ আলাদা। মানছি আলেকজান্ডার লাল কার্ড দেখায় ওদের একটা অর্ধ দশ জনে খেলতে হয়েছে। কিন্তু তার জন্য আর্মেনিয়া দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণ জমাট করে ফেলে। জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না বলে গোলের সুযোগ তৈরি হচ্ছিল না।’’
এ দিকে, আজ শনিবার ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ড খেলবে বুলগেরিয়ার সঙ্গে। গ্রুপ এ-র খেলায় হ্যারি কেনরা প্রথম দু’ ম্যাচে জিতেছেন।