সতর্কতা: হোটেলে পরীক্ষার মুখে দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্যাফ ডুপ্লেসি (বাঁ দিকে) এবং অধিনায়ক কুইন্টন ডি’কক। সোমবার কলকাতায়। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
কলকাতায় এসে এক দিন কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফেরার পথে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। বিরাট কোহালিদের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ মুলতবি হওয়ার পরে উৎকণ্ঠার মধ্যেই সময় কাটাতে হয়েছে কুইন্টন ডি’ককদের। জানা গিয়েছে, দিল্লি হয়ে তাঁরা ফিরতে চাননি কারণ রাজধানীতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেক বেশি।
ফ্যাফ ডুপ্লেসি, ডি’ককদের মনে হয়েছে, সে দিক দিয়ে কলকাতা অনেক নিরাপদ শহর কারণ এখানে এখনও তেমন সাংঘাতিক ভাবে করোনা-আক্রান্তের দেখা মেলেনি। সোমবার সকালে বিমানবন্দরে নেমে সোজা টারম্যাক থেকে বাসে না-তুলে স্বাভাবিক পরিস্থিতির মতো গেট দিয়েই বার করা হয় তাঁদের। সকলে মুখাবরণ পরেও ছিলেন না। রাজ্য সরকারের আপত্তিতে আলিপুর চিড়িয়াখানার কাছের পাঁচতারা হোটেলে তাঁদের তোলা হয়নি। উঠতে হয়েছিল বিমাবন্দরের কাছে একটি নতুন হোটেলে। সেখানে পৌঁছে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটারদের খুব উদ্বিগ্ন দেখায়নি। ডুপ্লেসি মুখাবরণ পরে ছিলেন। হোটেলে পৌঁছে চিত্রসাংবাদিকদের অনুরোধে ‘মাস্ক’ খুলে পোজও দিলেন।
সিএবি খুবই তৎপরতার সঙ্গে বিদেশি ক্রিকেটারদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়। সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া, সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস গিয়েছিলেন হোটেলে। সিএবি কর্তাদের আরও কয়েক জনকে রেখে একটি দলও গড়ে ফেলা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটারদের দেখাশোনা করার জন্য। নিউ টাউনের হোটেলে দু’টি ঘর নিয়ে সিএবি কর্তারা সারা দিন থাকেন, কোনও প্রয়োজন হলেই যাতে সাহায্য করা যায়। অভিষেক ডালমিয়া বলছিলেন, ‘‘আমাদের লোকেরা সব সময় হোটেলে থাকছে। উডল্যান্ডস থেকে ডাক্তারেরাও এসে দেখে গিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে যা যা করণীয় সবই করা হচ্ছে। সমস্ত রকম ডাক্তারি নির্দেশ অনুসরণ করা হচ্ছে।’’ হোটেলে পৌঁছনোমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার সব ক্রিকেটারের পরীক্ষা করা হয়। জানা গিয়েছে, সোমবার রাত পর্যন্ত কারও কোনও সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা যায়নি। মেডিক্যাল টিমকেও সারা রাত হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ দিকে, সোমবারেই আবার দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড করোনাভাইরাসের জেরে আগামী দু’মাস সমস্ত ধরনের ক্রিকেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট সংস্থা আগামী ৬০ দিন দেশে সমস্ত রকম ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ও (মোমেন্টাম কাপ), সমস্ত আধাপেশাদার এবং আঞ্চলিক ক্রিকেটও রয়েছে। সঙ্গে জুনিয়র এবং অপেশাদার ক্রিকেটও,’’ বিবৃতিতে জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেটের পাশাপাশি, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রিমিয়ার সকার লিগ, সুপার রাগবি এবং দুটি ম্যারাথন বাতিল হয়ে গিয়েছে।