২৯ বলে ৬৪। মুম্বইয়ে ডে’ভিলিয়ার্স শো।-পিটিআই
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে পরপর দু’ম্যাচে দুশোর উপর রান তোলার রেকর্ড। আফগানিস্তানকে হারিয়ে জয়ের সরণিতে ফেরা। এবি ডে’ভিলিয়ার্সের ২৯ বলে ৬৪ রানের ইনিংস। তবু রবিবার অস্বস্তি থেকেই গেল দক্ষিণ আফ্রিকার।
অস্বস্তি ২১০ রানের টার্গেট রেখেও ‘দুর্বল’ আফগানদের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৭ রানে জিতে। এখানেই শেষ নয়, রান তাড়া করতে নেমে আফগানরা প্রথম ১০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান তোলার গতিকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল। মহম্মদ শাহজাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। আফগান ওপেনার ১৯ বলে ৪৪ রানের দুরন্ত ইনিংসের পরও দলকে সেমিফাইনালে তোলার আশা জিইয়ে রাখতে পারলেন না ঠিকই, তবে আফগান স্পিরিট কী বস্তু সেটা দেখিয়ে দিলেন। তাঁর ইনিংস সাজানো পাঁচটা ছয় ও তিনটে বাউন্ডারি দিয়ে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আফগানদের ইনিংস ক্রিস মরিস (৪-২৭) ও ইমরান তাহিরের (২-১৪) দাপটে শেষ হয়ে যায় ১৭২ রানে। শ্রীলঙ্কার কাছে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থতার পর আফগানিস্তানের দ্বিতীয় হার।
একই দিন বেঙ্গালুরুতে আবার ক্রিস গেইলের ব্যাটিং ছাড়াই শ্রীলঙ্কাকে সাত উইকেটে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শ্রীলঙ্কা ১২২-৯ তোলার পর রান তাড়া করতে নেমে ১৮.২ ওভারেই ১২৭-৩ তুলে জেতে ক্যারিবিয়ানরা। গেইলের হ্যামস্ট্রিংয়ে সমস্যা হওয়ায় একান্ত প্রয়োজন না পড়লে তাঁকে ব্যাট করানো হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে গে-ই-ল, গে-ই-ল চিৎকারের পরও ক্যারিবিয়ান সম্রাটের ব্যাট হাতে নামার প্রয়োজন পড়ল না ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারের জন্য। যিনি ৬৪ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংসে একাই জিতিয়ে দেন। ম্যাচ জেতার পর অবশ্য গেইল ‘ঘরের মাঠে’ নেমে হাত নেড়ে ভক্তদের অভিবাদন গ্রহণ করেন।
ম্যাচের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্যাপ্টেন ডারেন স্যামি বলেন, ‘‘আশা করছি ক্রিস দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। তবে আজ কিন্তু দেখিয়ে দিলাম আমরা ওয়ান ম্যান শো নই। আমাদের স্কোয়াডের ১৫ জনই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখে।’’