সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

সৌরভের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করানো উচিত, মত রণদীপ মৈত্রর

রণদীপ মৈত্র জানিয়েছেন, কর্পোরেট দুনিয়ার কাজের চাপ অনেক সময়েই শরীরের উপর প্রভাব ফেলে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:১৭
Share:

নানা কাজের মধ্যে ধারাভাষ্য দিতেও এক সময় দেখা গিয়েছে সৌরভকে। ফাইল ছবি

সবদিকে ছিল খুঁটিনাটি নজর। কিন্তু সময়ের অভাব। সে কারণেই নিজের শরীরের দিকে পুরোপুরি খেয়াল রাখতে পারেননি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক আগে থেকেই সৌরভের সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। বিশেষত তিনি যখন এতগুলি কাজের সঙ্গে জড়িত, তখন তাঁর শরীর কতটা চাপ নিতে পারবে সেটা বোঝার দরকার ছিল অনেক আগেই।

Advertisement

ফিটনেস ট্রেনার রণদীপ মৈত্র জানিয়েছেন, কর্পোরেট দুনিয়ার কাজের চাপ অনেক সময়েই শরীরের উপর প্রভাব ফেলে। একটা গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার কারণেই সৌরভের উচিত ছিল নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করানো। রণদীপ বলছেন, “সৌরভের যেটা হয়েছে, সেটা খুব স্বাভাবিক। শুধু ওর কেন, এই জিনিস যে কোনও মানুষের ক্ষেত্রেই হতে পারে। আমি মনে করি, বয়স ৪০ পেরোলেই প্রত্যেক মানুষের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করানো উচিত। বছরে অন্তত দু’বার। বেশিরভাগ মানুষই নিজের শরীরের অসুস্থতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। পরীক্ষা করাতে গিয়েই সেগুলো ধরা পড়ে। সৌরভ যখন এত গুরুত্বপূর্ণ একটা পদে রয়েছে, তখন ওর আরও বেশি করে নিজের খেয়াল রাখা দরকার ছিল।”

জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সৌরভের এই প্রথম না-ও হতে পারে। এর আগেও সম্ভবত একবার মৃদু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তবে সে সময় বুঝতে পারেননি। অনেকে বলছেন তাঁর পারিবারিক ইতিহাসের কথাও। তাঁর বাবা চণ্ডী গঙ্গোপাধ্যায় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েই প্রয়াত হয়েছিলেন। সে কারণেই সৌরভের আরও বেশি করে সতর্ক হওয়া দরকার ছিল।

Advertisement

এই ব্যাপারেও একমত রণদীপ। বলেছেন, “এখনকার দিনে জেনেটিক টেস্টিং বলে একটা বিষয় এসেছে। যে কোনও অ্যাথলিটের ক্ষেত্রেই আমরা আগে জেনেটিক টেস্টিং করিয়ে নিই। যদি শরীরে কোনও গুরুতর রোগ বাসা বেঁধে থাকে, তাহলে সেটা সহজেই ওই পরীক্ষার মাধ্যমে সামনে চলে আসে। তখন সেটার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট চিকিৎসা করানো যায়।”

আরও খবর: ক্রিকেট-স্বাস্থ্য দেখতে গিয়ে নিজের শরীরের খেয়াল রাখেননি সৌরভ

আরও খবর: বসবে আরও দুটো স্টেন্ট, ১ মাসেই পুরো সুস্থ হবেন সৌরভ, দাবি

উদাহরণ তুলে তিনি বলেছেন, “কারওর যদি হাই কোলেস্টেরল থাকে, তাহলে জেনেটিক টেস্টিং করালেই সেটা ধরা পড়বে। কারওর ফ্যাটি লিভার থাকলে সে ক্ষেত্রে তাঁকে অ্যালকোহল পান করতে বারণ করা হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ রকম সুবিধা থাকলে সেটা সকলেরই নেওয়া উচিত। বিশেষত এমন মানুষদের, যাদের শরীরের ওপর কাজের মারাত্মক প্রভাব পড়ে।”

তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা শুনে কিছুটা বিস্মিত হয়েছেন সৌরভ নিজেও। মুষড়েও পড়েছেন। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঘাবড়ানোর মতো কোনও ব্যাপার হয়নি। তাঁর নাড়ির গতিবেগ, রক্তচাপ সবই স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যে শরীরের খেয়াল রাখতে হবে এ বিষয়টাও তাঁরা বারবার উল্লেখ করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement