লক্ষ্মী নিয়ে সিএবি সভায় প্রশ্ন

ফের প্রশ্ন উঠল লক্ষ্মীরতন শুক্লর অবসরে সিএবি-র ভূমিকা নিয়ে। বঙ্গ ক্রিকেটের অন্দরমহলেই। ওয়ার্কিং কমিটির সভায়। প্রশ্ন তুললেন লক্ষ্মীর ক্লাব মোহনবাগানের সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু। বাংলার ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা একজন ক্রিকেটারকে তাঁর যোগ্য সম্মান দিয়ে বিদায় জানানো হল না কেন, এই প্রশ্ন ওঠে এ দিন। প্রশ্ন তোলা হয় নানা বিষয়ের মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:৩২
Share:

সিএবি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে সৌরভ। —নিজস্ব চিত্র

ফের প্রশ্ন উঠল লক্ষ্মীরতন শুক্লর অবসরে সিএবি-র ভূমিকা নিয়ে।

Advertisement

বঙ্গ ক্রিকেটের অন্দরমহলেই। ওয়ার্কিং কমিটির সভায়।

প্রশ্ন তুললেন লক্ষ্মীর ক্লাব মোহনবাগানের সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু। বাংলার ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা একজন ক্রিকেটারকে তাঁর যোগ্য সম্মান দিয়ে বিদায় জানানো হল না কেন, এই প্রশ্ন ওঠে এ দিন। প্রশ্ন তোলা হয় নানা বিষয়ের মধ্যে।

Advertisement

রাতে যোগাযোগ করা হলে অবশ্য সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তেমন কিছুই হয়নি। বিষয়টা নিয়ে একটা প্রশ্ন তুলেছিলেন সৃঞ্জয়। আমি তার ব্যাখ্যা দিয়েছি।’’

সৃঞ্জয় এ দিনের সভায় বলেন, ‘‘গ্রেগ চ্যাপেল যখন সৌরভের ‘কমিটমেন্ট’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, তখন আমরা যে আবেগ নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম, আজ সাইরাজ বাহুতুলে বাংলার অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের ‘কমিটমেন্ট’ নিয়ে যখন প্রশ্ন তুলছে, তখন সেই আবেগেই ঘা লাগছে। তাই এই ঘটনারও প্রতিবাদ করছি আমরা।’’ রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ আমি এই কথা বলেছি। লক্ষ্মীকে যে যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানানো হল না এবং এই প্রসঙ্গটা যে ওয়ার্কিং কমিটির বিবিধ বিষয়ে তুলতে হল আমাকে, তা দুর্ভাগ্যজনক।’’

বৈঠকে লক্ষ্মী নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাব অবশ্য তৈরি ছিল সৌরভের কাছে। সভায় উপস্থিত এক কর্তার কথা অনুযায়ী, এর উত্তরে সিএবি প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট বলে দেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম লক্ষ্মী আরও খেলুক। আমি নিজেই ওকে বারণ করেছিলাম এ রকম কোনও সিদ্ধান্ত নিতে। যে জন্য স্থানীয় ক্রিকেটে খেলে ম্যাচ ফিট প্রমাণ করার সুযোগ না পাওয়ার পরেও ওকে বিজয় হাজারে ট্রফির দলে নেওয়া হয়েছিল। নিজেদের চেষ্টায় ওর ফিটনেসের পরীক্ষা নিয়ে। মুস্তাক আলির দলেও ওকে রাখা হয়েছিল আরও সুযোগ দেওয়ার জন্য।’’

ঘনিষ্ঠ মহলে সম্প্রতি সৌরভ নাকি লক্ষ্মীকে নিয়ে আলোচনার সময় তাঁর গত দু’বছরের পারফরম্যান্সের খতিয়ানও দিয়েছিলেন। এ দিনের সভায় অবশ্য সেই পরিসংখ্যানগুলি আর বলেননি। এই ব্যাপারে সৌরভ রাতে বলেন, ‘‘এই বিষয়টা নিয়ে আমি আর বিতর্ক বাড়াতে চাইনি। সেটা লক্ষ্মীর পক্ষেও বোধহয় ভাল হত না। যা সত্যি, সেটাই সবাইকে বলেছি।’’

বাংলার কোচ বাহুতুলের তোলা লক্ষ্মীর ‘কমিটমেন্ট’ নিয়ে প্রশ্ন প্রসঙ্গেও রাতে সৌরভ ব্যাখ্যা দেন, ‘‘সাইরাজ দলের কোচ। ও বলতেই পারে। তা ছাড়া সিনিয়রদের সবার কমিটমেন্ট নিয়েই ও কথা বলেছে, শুধু একা লক্ষ্মীর নয়। ও যদি ব্যাপারটাকে পার্সোনালি নিয়ে নেয়, তা হলে সেটা ওর ভুল।’’

লক্ষ্মী-প্রসঙ্গ ছাড়াও যা নিয়ে এ দিন সভা সরগরম ছিল, তা হল ইডেনের নেমিং রাইটস। যা নিয়ে জটিলতা ক্রমশ বাড়ছে। শোনা গেল, বোর্ড থেকে বার্তা এসেছে তাদের স্পনসরদের স্বার্থে যাতে কোনও ঘা না লাগে, তা মাথায় রেখে যেন নেমিং রাইট দেওয়া হয়। ওপেন টেন্ডার ডাকায় কী সমস্যা হতে পারে, তা বোঝানোর জন্য এ দিন আইনজীবী উষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হয়। যিনি ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য নন। তার পর অবশ্য ঠিক হয় ‘ওপেন টেন্ডার’ না ডেকে ‘রেস্ট্রিক্টেড টেন্ডার’ ডাকা হবে।

এ দিনের সভায় সরকারি ভাবে গৃহীত হল নির্বাচক প্রধান সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা। তবে তাঁর বদলি এ দিন ঠিক হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement