আগামী মরসুমে ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে জেজে। ছবি:সংগৃহীত।
দু’বছর পর আবারও একটা ট্রফিহীন মরসুমের সাক্ষী থাকল মোহনবাগান। পাঁচ বছরের ট্রফির খরা কাটিয়ে, ২০১৪ থেকে মসৃণ ভাবেই চলছিল পালতোলা নৌকা। কিন্তু আচমকাই যেন ছন্দপতন। চেতলার সঞ্জয় সেনের হাতে পড়ে ২০১৪-য় ১৩ বছরের খরা কাটিয়ে আই লিগ ঢোকে গঙ্গাপারের ক্লাবটিতে। পরের বছরই, অর্থাৎ ২০১৫-য় আই লিগ না পেলেও ফেডারেশন কাপ জিতে নেয় শতাব্দীপ্রাচীন এই ক্লাবটি। কিন্তু চলতি মরসুমে আবারও শুকিয়ে গেল লক্ষ লক্ষ মোহন জনতার সাধের বাগান।
চলতি মরসুমে এক পয়েন্টের ব্যবধানে আই লিগ হাতছাড়া হয় জেজে-ডাফিদের। একই চিত্র ধরা পড়ে রবিবারের ফেডকাপ ফাইনালেও। বেঙ্গালুরুর কাছে হেরে জগন্নাথ দেবের শহরেই ভারতসেরার ট্রফি ফেলে আসতে হয় বাগান ফুটবলারদের। রবিবারের হারের জন্য এ দিন সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন বাগান জনতার নয়ণের মণি জেজে লালপেখলুহা এবং সোনি নর্দি।
আনন্দবাজারকে জেজে বলেন, “আমরা প্রচন্ড ভাবে হতাশ এই পারফরম্যান্সের জন্য। সদস্য-সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতেই মাঠে নামি আমরা। কিন্তু কালকে কোনও ভাবেই ভাল খেলতে পারেনি দল। মোহনবাগানের সদস্য-সমর্থকদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।” এ দিন চ্যাম্পিয়ন্স লাকের প্রসঙ্গও উঠে আসে এই মিজো ফুটবলারের গলায়। তিনি বলেন, “চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ভাল পারফরম্যান্সের সঙ্গে ভাগ্যও থাকা প্রয়োজন। যেটা এই মরসুমে আমাদের সঙ্গে একদমই ছিল না।”
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দল থেকে বাদ পড়লেন আকমল
সোনির গলাতেও ধরা পড়ে একই সুর। হাইতিয়ান মহাতারকা বলেন, “মোহনবাগানে গত তিন বছর ধরে খেলছি। এই বছর আমাদের যা দল ছিল তা গত তিন বছরের সেরা দল। আই লিগ এবং ফেড কাপে খেলা দলগুলির মধ্যে আমরাই ছিলাম সেরা। কিন্তু সেরা হয়েও মরসুম শেষে ট্রফিহীন। দলের প্রতিটি সমর্থকের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী এই পারফরম্যান্সের জন্য।”
তবে, চলতি মরসুমে ক্লাব তাঁবুতে ট্রফি না ঢুকলেও দলের খেলায় এবং প্রতিটি ফুটবলারের আন্তরিকতায় খুশি মোহনবাগান কর্তারা।