রেকর্ড করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন অধিনায়ক কোহালি। পর পর তিন ম্যাচে তিনটি। কিন্তু, শেষ দু’টিই কোনও কাজে লাগল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ টাই হলেও হারতে হয়েছে তৃতীয় ম্যাচ। কিন্তু, কেন? আমাদের বিশ্লেষণে উঠে এল এই হারের বেশ কয়েকটি কারণ।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। বিরাট কোহালি ছাড়া আর কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যান কিছুই করতে পারেননি পুণের ম্যাচে। বিরাট ১০৭ রান করেন, বাকি দশ ব্যাটসম্যানের মোট সংগ্রহ ১২৭— এই পরিসংখ্যানই বুঝিয়ে দেয় কতটা ব্যর্থ ব্যাটসম্যানরা।
দুই ওপেনারের ব্যর্থতা। রোহিত শর্মা এবং শিখর ধওয়নের যেন কোনও কিছুই ঠিকঠাক কাজ করছে না। প্রথম একদিনের ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেও তার পর থেকে নিষ্প্রভ রোহিত। পরপর দুই ম্যাচে সেট হয়ে আউট হয়েছেন শিখর। আর এটাই ভারতীয় দলের বড় সমস্যা।
ভারতীয় দলের অতিরিক্ত কোহালি নির্ভরতা। দলটা বড্ড বেশি অধিনায়ক নির্ভর হয়ে গিয়েছে। এক সময় সচিন তেন্ডুলকরের উপর এমনই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল ভারতীয় দল। সেই ছবিই আবার যেন ফিরে আসছে ভারতীয় দলে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের লোয়ার ওর্ডারকে বাগে আনতে না পারার ব্যর্থতা। ভারতীয় বোলাররা শুরুটা ভাল করেছিলেন। কিন্তু শেষ দিকে প্রচুর রান দিয়ে ফেলেন ভুবনেশ্বররা। সেটাই তফাৎ গড়ে দেয়। যেমন, ভুবি শুরুটা ভালই করেছিল। কিন্তু শেষে প্রচুর মার খেয়ে যান।
বেশ কিছু দিন বাদে দলে ফিরে চার উইকেট পেয়েছেন বুমরা। কিন্তু, ভুবনেশ্বর কুমার, চহাল বা কুলদীপরা কিছুই করতে পারেননি। দলে ফেরা ভুবির উপর ভরসা থাকলেও হতাশই হতে হয় দলকে।
বলতেই হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শেই হোপের কথা। দ্বিতীয় ম্যাচে শতরান, তৃতীয় ম্যাচে ৯৫। ক্রমেই ভারতীয় বোলারদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠছেন লারা-চন্দ্রপলদের এই উত্তরসূরি।