মাঠে বিপক্ষকে কাবু করতে সব সময় লড়াই চালাতে দেখা যায় তাঁদের। কখনও সফল হন, কখনও ব্যর্থ। মাঠে অক্রিকেটীয় কিছু করলে শাস্তি নিশ্চিত। মাঠের ঘটনা জানা গেলেও পিছনে থেকে যায় ড্রেসিং রুমের নানা কাহিনি। চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক ভারতীয় ড্রেসিং রুমের এমন কয়েকটি ঘটনায়।
জন রাইট। এক জন অতিব শান্ত মানুষ। ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে এমন ভাবেই তাঁকে চেনেন ভক্তরা। এই রাইটকেও একবার ড্রেসিং রুমে মেজাজ হারিয়ে, বীরেন্দ্র সহবাগের জামার কলার ধরে শাসাতে দেখা গিয়েছিল বলে শোনা যায়। এমন ঘটনা নাকি ঘটে ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির একটি ম্যাচে বীরু দায়সারা ভাবে আউট হওয়ার পরই।
১৯৮৬, শারজায় খেলা চলছে। ড্রেসিং রুমে কপিল দেবের সঙ্গে দেখা করতে যান অন্ধকার জগতের বাদশা দাউদ ইব্রাহিম। সে দিন প্রচণ্ড রেগে গিয়ে সেখান থেকে দাউদকে বেরিয়ে যেতে বলেন কপিল। পুরো ঘটনাটি পরবর্তী কালে জানিয়েছিলেন দিলীপ বেঙ্গসরকার।
২০০০ সালের আইসিসি নকআউট টুর্নামেন্ট। ড্রেসিং রুমে অধিনায়ক সৌরভ গিয়ে যুবরাজ সিংহকে বলেন, কাল ওপেন করবে তো? ঘটনাচক্রে ওটাই ছিল যুবির প্রথম ম্যাচ। এক মিনিটও না ভেবে সে দিন যুবি বলেছিলেন, আপনার আর্শীবাদ পেলে নিশ্চয় করব। যদিও যুবি ওপেন করেননি। কিন্তু, যুবরাজের মনোভাবে সে দিন খুবই খুশি হন অধিনায়ক।
তখন খুবই কম বয়স বিরাট কোহালির। প্রথম বার ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। ভারতীয় দলে নবাগত কোহালিকে নিয়ে মজা করতেন সচিন। লিটল মাস্টারের মতো এক জনের এই রূপ দেখে খুবই অবাক হয়েছিলেন বিরাট।
২০০৭ সালে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর ড্রেসিং রুমে মুনাফ পটেলকে খুবই নার্ভাস দেখাচ্ছিল। তখন সচিন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, তুমি নিরাপদে বাড়ি যেতে পারবে তো? উত্তরে মুনাফ বলেন, ‘‘আমি যেখানে থাকি সেখানে আট হাজার লোকের বাস। আমার নিরাপত্তার জন্য রয়েছেন ওই আট হাজার মানুষ।’’
যখন সৌরভ ভারতীয় দলে সুযোগ পান, তখন সতীর্থরা তাঁকে এবং রাহুল দ্রাবিড়কে রীতিমতো এপ্রিল ফুল করেছিলেন।
মিস্টার কুল হিসেবেই তাঁকে চেনেন ক্রিকেট মহল। সেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকেও কয়েক বার ড্রেসিং রুমে মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে। আর তখন আর কেউ নন, ধোনিকে শান্ত করতে এগিয়ে আসার সাহস দেখিয়ে ছিলেন একমাত্র যুবরাজ সিংহ।
সুধীরকুমার চৌধুরি। বোধ হয় ভারতীয় ক্রিকেটের সব থেকে বড় সমর্থক। দেশের খেলা হলে তাঁকে গায়ে জাতীয় পতাকা এঁকে মাঠে দেখা যাবেই। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ছিল তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো। খেলা শেষে তাঁকে ড্রেসিং রুমে ডেকে পাঠান স্বয়ং সচিন তেন্ডুলকর। ছবিও তোলেন সুধীরের সঙ্গে।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল। প্রথমে ব্যাট করে ৩৫৯ তোলে অস্ট্রেলিয়া। বিরতির সময় গোটা দল ভেঙে পড়েছিল। দলকে চাঙ্গা করতে সচিনের ভূমিকা ছিল দেখার মতো। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা প্রতি ওভারে একটা চার মারতে পারব না? তাহলে ৫০ বলে ২০০ রান হয়ে যাবে। বাকি ১৬০ রান করতে হবে ২৫০ বলে।” যদিও শেষ পর্যন্ত সচিনের টোটকা কাজে দেয়নি।